সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পারথে বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম ম্যাচে হেরে সিরিজে পিছিয়ে পড়েছে টিম ইন্ডিয়া। ম্যাচ হারের পর ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। অনেকের মতে, ডিএলএসের গোলকধাঁধায় অজিদের টার্গেট সহজ করে দেওয়া হয়েছে। এবার প্রাক্তন ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকরও এই পদ্ধতির সমালোচনা করে বিকল্প পদ্ধতির কথাও তুলে ধরেছেন।
রবিবার পারথে সব মিলিয়ে চারবার বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়েছে। তার জেরে ৫০ ম্যাচের দৈর্ঘ্য ক্রমে ক্রমে কমানো হয়েছে। প্রথমে ৩৬, তারপর ৩০ এবং শেষে ২৬ ওভারের ম্যাচ করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অর্থাৎ একজন বোলার সর্বোচ্চ ৫ ওভার বল করতে পারবেন। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই জশ হ্যাজেলউড এবং মিচেল স্টার্ক যথাক্রমে ৭ এবং ৬ ওভার বল করে ফেলেছেন। দু’জন মিলে ভারতের টপ অর্ডার ধসিয়েও দিয়েছেন। কিন্তু ভারতের সেরা বোলাররা ৫ ওভারের বেশি বল করার সুযোগ পাননি। তাছাড়াও ভারতের ৫ রান কমিয়ে দেওয়া হয়। সেই কারণেই ডিএলএস পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সানি।
সংবাদমাধ্যমকে গাভাসকর বলেন, "বেশিরভাগ মানুষই এই পদ্ধতি বোঝেন না। কিন্তু এটা অনেক দিন ধরেই চলে আসছে। একজন ভারতীয় এর বিকল্প হিসাবে ভিজেডি পদ্ধতি নিয়ে এসেছিলেন। যা অনেক বেশি উপযুক্ত। কারণ এর ব্যবহারে কোনও দলই অ্যাডভান্টেজ পায় না। বিসিসিআই ঘরোয়া ক্রিকেটে একটা সময় ভিজেডি পদ্ধতি ব্যবহার করা শুরু করেছিল।"
ভি জয়দেবন নামে কেরলের এক সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ডিএলএস পদ্ধতির বিকল্প হিসাবে এই পদ্ধতি নিয়ে এসেছিলেন। গাভাসকরের কথায়, "বৃষ্টি কারণে খেলা বন্ধ হতেই পারে। কিন্তু দেখতে হবে কোনও দলই যাতে বাড়তি সুবিধা না পায়। বৃষ্টির কারণে ম্যাচ বন্ধ হওয়ার পর ফের শুরু হলে যে লক্ষ্যই দেওয়া হোক না কেন, তা যেন ন্যায্য হয়, সেদিকে নজর দেওয়া উচিত।"
প্রথম ওয়ানডে'তে ৮ রানে আউট হয়ে যান রোহিত শর্মা। অন্যদিকে, রানের খাতা না খুলে সাজঘরে ফেরেন বিরাট কোহলি। যদিও এটা নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন গাভাসকর। তাঁর কথায়, "ভারত খুবই ভালো দল। চার-পাঁচ মাস আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছে এই দল। রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি যদি পরের দু'টি ম্যাচে বড় রান করে, অবাক হওয়ার কিছু নেই। অনেকদিন পর ওরা খেলছে। তাই ওরা যত বেশি খেলবে, যত বেশি নেটে অনুশীলন করবে, তত ওদের জন্য ভালো। ওরা রানে ফিরলে ভারতের ৩০০-৩২০ রান তুলবে।"
