স্টাফ রিপোর্টার: বাংলার ভিশন ২০২৫-এর পেস বোলিং পরামর্শদাতা ভেঙ্কটেশ প্রসাদকে নিয়ে বড়সড় জট তৈরি হল। এবং পুরোটাই হল তাঁর স্বার্থের সংঘাতের প্রশ্নকে ঘিরে।
আসলে ভিশনের পেস বোলিং পরামর্শদাতা হওয়া সত্ত্বেও হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থার ক্রিকেট অপারেশনসের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন প্রসাদ। রবিবার তা প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানিয়েও দিয়েছে হায়দরাবাদ ক্রিকেট সংস্থা। যার পর প্রশ্ন উঠছে, ঘরোয়া ক্রিকেটে দুই রাজ্য টিমের বিভিন্ন পদে কী করে থাকতে পারেন প্রাক্তন ভারতীয় পেসার?
প্রসাদের নতুন দায়িত্ব প্রাপ্তির কথা সিএবি কিছু জানত না। বঙ্গ ক্রিকেট সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হল, প্রসাদের সঙ্গে সিএবি-র চুক্তি পঞ্চাশ দিনের। তার দিন কুড়ি তিনি করেছেন, তিরিশ দিনের কাজ এখনও বাকি রয়েছে। সিএবি তাঁকে দেখতে গেলে বলতেও পারে না, বছরের বাকি দিন তিনি ক্রিকেটীয় কিছু করতে পারবেন না। একই সঙ্গে এটাও বলা হল, প্রসাদ যে ভিশনের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন না, এ রকম কিছুও তিনি জানাননি। তা হলে এত চাঞ্চল্যের কী আছে?
সমস্যা হল, আছে। কারণ, প্রসাদ নিজেও পরিষ্কার করে কিছু বললেন না যে তিনি সিএবি-র ভিশন প্রোজেক্টের সঙ্গে যুক্ত আর থাকবেন কি না? শনিবার সন্ধেয় ফোন করে প্রসাদকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি ভিশনের দায়িত্বে আর থাকবেন কি না? উত্তরে তিনি ধোঁয়াশা রেখে বললেন, ‘‘এটা নিয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। যা বলার সংস্থা বলতে পারবে।’’ অর্থাৎ, তিনি ভিশনের পেস বোলিং পরামর্শদাতার ভূমিকায় আর থাকবেন কি না, অস্পষ্ট।
এ দিন রাতের দিকে কেউ কেউ বলছিলেন, প্রসাদ যদি দু’টো রাজ্য সংস্থার ক্রিকেট নিয়ে কাজ করে স্বার্থের সংঘাতে জড়ান, তা হলে কেকেআর কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতও স্বার্থের সংঘাতে জড়িয়ে। কারণ, একই সঙ্গে তিনি কেকেআর এবং মধ্যপ্রদেশের হেড কোচ। কিন্তু জবাবে পাল্টা আবার বলা হল, একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট। আর একটা ঘরোয়া ক্রিকেট। দু’টোর মধ্যে তফাত আছে বিস্তর। কেকেআর কখনও রনজি ট্রফি খেলবে না। আবার মধ্যপ্রদেশও আইপিএল খেলতে নামবে না। কিন্তু প্রসাদ হায়দরাবাদ ও বাংলা দু’জায়গাতেই থাকলে সে সমস্যা হতে পারে। বলা হল, ধরা যাক বাংলা আর হায়দরাবাদ রনজি ট্রফি নকআউটে মুখোমুখি হয়েছে। তখন কী করবেন প্রসাদ? বাংলার উঠতি তারকা যাঁরা, তাঁদের থেকে কাকে নেওয়া যেতে পারে, সেটা টিমকে বলবেন? নাকি হায়দরাবাদ কী ভাবে ম্যাচটা জিততে পারে, সেটা ঠিক করবেন?
সব মিলিয়ে ভিশন প্রোজেক্টে যোগদানের কয়েক মাসের মধ্যেই প্রসাদকে নিয়ে জট তুঙ্গে।