সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিসিসিআইয়ের নির্দেশ ছিল ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে হবে। ওয়ানডে দলে জায়গা ধরে রাখতে ফর্ম ও ফিটনেস দুটোই প্রমাণ করতে হবে। বোর্ডের সেই নির্দেশ মেনে বিজয় হাজারে ট্রফিতে খেলতে নেমেই রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি প্রমাণ করে দিলেন, তাঁদের আর নতুন করে প্রমাণ করার কিছু নেই। দুই মহাতারকাই এদিন সেঞ্চুরি হাঁকালেন। রোহিত পেরোলেন দেড়শো। এদিকে শচীনের পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসাবে লিস্ট এ ক্রিকেটে ১৬ হাজার রান করার নজির গড়লেন কোহলি।
রোহিত শর্মা ঘরোয়া ক্রিকেটে নামলেন ৭ বছর পর। জাতীয় দলের চাপ সামলে ইদানিং ঘরোয়া ক্রিকেটে সেভাবে দেখা যায় না ভারতীয় ক্রিকেটের দুই মহারথীকে। কিন্তু বোর্ড বলেছে, তাঁদের নিজেদের প্রমাণ করতে হবে। অগত্যা সিকিমের মতো দলের বিরুদ্ধেও নামতে হয়েছে রোহিত শর্মাকে। ফলাফল যা হওয়ার তাই হল, সিকিমের বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করে রোহিত মাত্র ৯৪ বলে খেললেন ১৫৫ রানের ইনিংস। সেঞ্চুরিতে তিনি পৌঁছন ৬২ বলে। ৯টি ছক্কা, ১৮টি বাউন্ডারি মারেন তিনি। মুম্বই অনায়াসে ম্যাচ জিতে যায় ৮ উইকেটে। বলে রাখা দরকার, স্রেফ রোহিতের টানেই এদিন জয়পুরে ১২ হাজার দর্শক এসেছিলেন। তাঁদের কোনও আক্ষেপ রইল না।
কোহলিই বা পিছিয়ে থাকেন কেন। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ খানিক কঠিন ছিল। অন্ধ্রপ্রদেশ। কিন্তু তিনি তো বিরাট কোহলি। বিশ্বের তাবড় তাবড় বোলার যার ভয়ে থরহরি কম্পমান। অন্ধ্রের অখ্যাত বোলাররা তাঁকে বেগ দেবেন কী করে। বিরাটও হাঁকালেন অনবদ্য সেঞ্চুরি। এদিন প্রথম শটেই লিস্ট এ ক্রিকেটে ১৬ হাজার রানের গণ্ডি পেরোন কোহলি। শচীন তেণ্ডুলকরের পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসাবে এই কীর্তি গড়েন তিনি। শচীন ১৬ হাজার রান করেছিলেন ৩৮৫ ইনিংসে। বিরাট পেরলেন ৩৩০ ইনিংসে। তারপর সেই ইনিংসেই অনবদ্য শতরান।
আসলে এই মুহূর্তে ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটের যা মান, তাতে নিচের দিকের দলগুলির বিরুদ্ধে বিরাট-রোহিতদের খেলানোটা কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ আছে। যদিও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজের আগে এই ম্যাচগুলি দুই মহাতারকার জন্যই ভালো অনুশীলনের মঞ্চ।
