সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জওয়ানের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল জম্মু-কাশ্মীরে। ঘটনাটি ঘটেছে সোনওয়ার একটি ক্যাম্পে। মৃত জওয়ানের নাম সুখদেব। সিআরপিএফ-এর ৭৯ ব্যাটালিয়নের সদস্য ছিলেন তিনি।
জানা গিয়েছে, তেলেঙ্গানার বাসিন্দা সুখদেব। রাম মুন্সি বাগ এলাকায় কর্মরত ছিলেন তিনি। শনিবার সকালে ক্যাম্পের আবাসন থেকে গুলি চলার শব্দ শোনা যায়। সুখদেবের ঘরে গিয়ে দেখা যায় রক্তে ভেসে যাচ্ছে চারদিক। মাঝে পড়ে সুখদেবের দেহ। তাঁর হাতে ছিল সার্ভিস রিভলভার। সঙ্গে সঙ্গে জওয়ানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, মানসিক অবসাদের জেরেই আত্মহত্যা করেছেন সিআরপিএফ জওয়ান।
[চিন সীমান্তে শহিদ জওয়ানদের পরিবারের জন্য নয়া উদ্যোগ কেন্দ্রের]
এমন ঘটনা নতুন নয়। সম্প্রতি কুপওয়ারাতেও এমনই ঘটনা ঘটেছিল। চলতি বছরেরই মার্চ মাসে কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলায় আত্মহত্যা করেন সেপোই শংকর সিং। ১৮ নম্বর রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের সদস্য ছিলেন রাজস্থানের ৩১ বছরের বাসিন্দা। একইভাবে সার্ভিস রিভলভার দিয়েই আত্মঘাতী হয়েছিলেন তিনি। প্রাথমিক তদন্তের পর মনে করা হয়, মানসিক অবসাদের জেরেই আত্মহত্যা করেছেন সেনাকর্মী। মার্চ মাসের সাত তারিখই একইভাবে আত্মহত্যা করেন সেপোই বীরেন্দ্র সিনহা।
ঘরবাড়ি ছেড়ে দিনের পর দিন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পড়ে থাকেন জওয়ানরা। দেশের সীমান্ত রক্ষা করতে, বহিরাগত ও অভ্যন্তরীণ শত্রুদের মোকাবিলা করতে দিনের পর দিন সীমান্তে প্রহরায় থাকতে হয় তাঁদের। পরিবার-আত্মীয়দের ছেড়ে বাস করেন প্রতিকূল পরিবেশে। এমন অবস্থায় অনেকেই মানসিক অবসাদে ভোগেন। কেউ কেউ এই মানসিক চাপ সইতে না পেরে চরম পদক্ষেপ নিয়ে ফেলেন। এই পরিস্থিতির সঙ্গে বহু দিন ধরেই লড়ছে ভারতীয় সেনা। জওয়ানদের ব্যস্ত রাখতে বিশেষ উদ্যোগও নেওয়া হয়। তবে কাশ্মীরের মতো এলাকায় একাধিকবার এমন ঘটনা কেন্দ্রের চিন্তা বাড়াল।
[১২ ও তার কমবয়সী শিশুকে ধর্ষণে মৃত্যুদণ্ড, নয়া বিল রাজস্থানে]