নব্যেন্দু হাজরা: আন্দোলনকারী ডাক্তারি পড়ুয়াদের অনশন তুলে ফের কাজে ফেরার বার্তা দিল রাজ্য সরকার। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ দাবি করেন, সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন মেনে রাজ্য সরকার ইতিবাচকভাবে কাজ করছে। হাসপাতালে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার বিষয় রাজ্য সরকার কী কী কাজ করছেন, কাজ কতদূর এগোল তার খতিয়ানও দেন তিনি। পরিশেষে আমরণ অনশনে থাকা জুনিয়র ডাক্তারদের মুখ্যসচিবের অনুরোধ, "সুপ্রিম গাইডলাইন মেনে রাজ্য সরকার কাজ করছে। আপনাদেরও কাজে যোগ দেওয়া উচিত।"
মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, সামগ্রিকভাবে ১০ অক্টোবরের মধ্যে ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে যাবে। সিসিটিভির কাজ ৪৫ শতাংশ, রেস্ট রুম ৬২ শতাংশ, ৬৫ শতাংশ ওয়ার্ক রুম, ৬১ শতাংশ অতিরিক্ত আলো লাগানোর কাজ শেষ হয়েছে। মোট ১১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। প্যানিক বাটন চালু হবে ১ নভেম্বর।
পন্থের সংযোজন, "আমরা সবাইকে কাজে ফিরে আসতে অনুরোধ করছি। অনেকে ফিরেছেন। বাকিরাও ফিরুন। মানুষকে পরিষেবা দিন। আমরা সবাই মিলে হাসপাতালের পরিবেশের উন্নতির চেষ্টা করছি। এবং কাজ যে হচ্ছে, সেটাও দেখা যাচ্ছে।পড়ুয়াদের উচিত কাজের অগ্রগতিকে প্রশংসা করা। এবং কাজে ফেরা।"
রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালে চালু হচ্ছে নয়া রেফারেল ব্যবস্থা। জানালেন মুখ্যসচিব। এই রেফারেল ব্যবস্থা দক্ষিণ ২৪ জেলায় পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে ১৫ অক্টোবর থেকে শুরু হবে। ১ নভেম্বর থেকে শুরু হবে সারা রাজ্যে। কী এই নয়া রেফারেল ব্যবস্থা? কোন মেডিক্যাল কলেজ বা হাসপাতালে কত বেড ফাঁকা রয়েছে তা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতেই 'রিয়াল টাইম বেসিসে'- ব্লক থেকে জেলাস্তর সমস্তক্ষেত্রে দেখা যাবে অনলাইনের মাধ্যমে। সেই অনুযায়ী রোগীকে রেফার করা হবে। এটা জুনিয়র ডাক্তারদের অন্যতম দাবি ছিল। তাঁদের প্রায় সকল দাবিই রাজ্য় সরকার মেনে নিচ্ছে বলে দাবি মুখ্যসচিবের। তাই তাঁদেরও আন্দোলনের পথ থেকে সরে কাজে যোগ দেওয়া উচিৎ বলেই মনে করছে প্রশাসন। এদিন আরও একবার সেই অনুরোধ জানালেন মুখ্যসচিব।