সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় রেমালের দাপটে কার্যত বিপর্যস্ত কলকাতা। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪৬.২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। জলমগ্ন শহরের বিভিন্ন এলাকা। একাধিক জায়গায় ভাঙল গাছ। কোথাও কোথাও ভেঙে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। যার ফলে রাস্তায় বেরিয়ে কার্যত নাজেহাল শহরবাসী।
দক্ষিণ ও উত্তর কলকাতার (Kolkata) বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায়। হাঁটু জল জমেছে আলিপুরে। জলমগ্ন পার্ক সার্কাস, ঢাকুরিয়া, বালিগঞ্জের একাংশ। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্যাথোলজি বিভাগের সামনেও জল জমে গিয়েছে। তার ফলে ভোগান্তির শিকার রোগী ও রোগীর পরিবারের লোকজনেরা।
এছাড়া একাধিক জায়গায় গোড়া থেকে উপড়ে গিয়েছে গাছ। রাজভবনের সামনে গাছ ভেঙে গিয়েছে।
তার ফলে অবরুদ্ধ রাস্তা। ব্যাহত যানচলাচল। গাছ কেটে রাস্তা ফাঁকা করার কাজ চলছে।
কোথাও কোথাও ভেঙে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। কোথাও কোথাও উড়ে গিয়েছে ট্রান্সফর্মারও। তার ফলে বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। সোনারপুর-রাজপুর এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের শিকার স্থানীয়রা। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর পুরসভা।
যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে গাছ কেটে রাস্তা ফাঁকা করার কাজ। খুব তাড়াতাড়ি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলেই আশ্বাস পুরসভার। শুধু জলযন্ত্রণাই নয়। রেমালের থাবায় বন্ধ মেট্রো পরিষেবাও। তার ফলে অফিসে পৌঁছতে কার্যত হিমশিম অবস্থা শহরবাসীর।
[আরও পড়ুন: অরেঞ্জ ক্যাপ বিরাট, টুর্নামেন্টের সেরা নারিন, আইপিএলে আর কে কী জিতলেন?]
তবে বৃষ্টি থেকে এখনই রেহাই নেই কলকাতার। রবিবার থেকে দফায় দফায় চলছে বৃষ্টি। সোমবার সকাল থেকে একবারও থামেনি বৃষ্টি। দিনভর কলকাতায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সঙ্গে বইছে দমকা ঝোড়ো হাওয়া। সেক্ষেত্রে তুলনামূলক নিচু এলাকায় জলযন্ত্রণা থেকে এখনই রেহাই পাওয়া কার্যত দুষ্কর। তবে বিকেলের পর থেকে কিছুটা উন্নতি হতে পারে আবহাওয়ার। কমতে পারে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার দাপট।