সুকুমার সরকার, ঢাকা: সাইক্লোন সিত্রাং (Cyclone Sitrang)কি তবে নিঃশ্বাস ফেলছে ঘাড়ের কাছে? রবিবার মাঝরাত থেকেই বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh) আবহাওয়া দপ্তর। বলা হচ্ছে, আন্দামন সাগরে তৈরি নিম্নচাপটি রাতের মধ্যেই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। আর তারপরই শুরু হবে বৃষ্টি। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি (Heavy Rain) হতে পারে রাজধানী ঢাকা ও সংলগ্ন এলাকায়। এছাড়া উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে দাপট দেখাবে ঝড়বৃষ্টি। দেশের তিনটি প্রধান সমুদ্র বন্দরে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস সত্যি হলে, দীপাবলির (Diwali) আনন্দ একেবারেই মাটি হতে বসেছে বাংলাদেশে।
গভীর নিম্নচাপের (Deep Depression) প্রভাবে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত বৃষ্টির প্রবণতা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্তত আগামী ৫ দিন এমনই আবহাওয়া থাকবে। আর এই বৃষ্টির কারণে দিনের তাপমাত্রা প্রায় ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সকাল ৬টা নাগাদ আবহাওয়া দপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সমুদ্র উত্তাল রয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘হিন্দুরা কখনও ধর্ষণ করে না’, গ্রামে ফিরেই সদর্প ঘোষণা বিলকিস কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্তর]
সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালি, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলির নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় ৩ থেকে ৫ ফুট বেশি উঁচু ঢেউ উঠতে পারে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্ব্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
[আরও পড়ুন: গরুচোর সন্দেহে যুবককে বেঁধে গণপিটুনি, জ্বালানো হল ম্যাটাডোর, উত্তপ্ত ডোমজুড়]
সাইক্লোন সিত্রাং মোকাবিলায় আগে থেকেই প্রাথমিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ প্রশাসনের তরফে। ১০৩ টি সাইক্লোন শেল্টার ও বিভিন্ন সংগঠনকে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে। ২০২০সালে আমফানের ভয়াবহ স্মৃতি এখনও টাটকা অনেকের কাছে। সিত্রাং যাতে তেমন ক্ষত তৈরি করতে না পারে, সেদিকেই নজর প্রশাসনের।