shono
Advertisement

করোনায় বিধ্বস্ত দেশ, ‘যশে’র তাণ্ডবেও মোদির কাছে ক্ষতিপূরণ চাইলেন না ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী

না চাইলেও প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের সাহায্য পেল ওড়িশা।
Posted: 04:45 PM May 28, 2021Updated: 05:14 PM May 28, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাইক্লোন ‘যশ’ বা ‘ইয়াস’ (Cyclone Yaas) আছড়ে পড়েছিল সেরাজ্যেই। আশঙ্কার তুলনায় কম হলেও ক্ষয়ক্ষতি নেহাত কম হয়নি ওড়িশায়। অথচ, সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বেনজির উদারতা দেখালেন। জানিয়ে দিলেন, এই মুহূর্তে গোটা দেশ করোনায় বিপর্যস্ত। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) কাছ থেকে কোনওরকম আর্থিক ক্ষতিপুরণ তিনি চান না। যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নিজেদের অর্থ ব্যয় করেই ঠিক করতে চায় ওড়িশা সরকার। যদিও, না চাইলেও কেন্দ্রের কাছে মোটা অঙ্কের সাহায্যই পেয়েছেন তিনি। নবীন পট্টনায়েকের রাজ্যকে যশ মোকাবিলায় ৫০০ কোটি টাকা সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 

Advertisement

শুক্রবার বাংলায় পা রাখার আগেই ওড়িশায় যশ নিয়ে রিভিউ মিটিং করে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। খতিয়ে দেখেছেন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। সেজন্য টুইটারে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক (Naveen Patnaik)। এরপরই জানিয়ে দিয়েছেন, যশ মোকাবিলায় এখনই কোনওরকম সাহায্য প্রয়োজন নেই ওড়িশার। টুইটারে তিনি লেখেন,”দেশ যেহেতু করোনার ধাক্কায় বিপর্যস্ত, তাই আমরা কেন্দ্রের কাছে তাৎক্ষণিক কোনও আর্থিক সাহায্য চাইনি। আমরা নিজেদের ক্ষমতাতেই এই দুর্যোগ মোকাবিলা করতে চাই।” তবে, তাৎক্ষণিক সাহায্য না চাইলেও ওড়িশার (Odisha) মুখ্যমন্ত্রী ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার পরিকাঠামো তৈরির জন্য কেন্দ্রের সাহায্য প্রার্থনা করেছেন। আসলে গত ৩ বছরে ৬টি সাইক্লোন সামলাতে হয়েছে সেরাজ্যকে। পট্টনায়েক চাইছেন, আগামী দিনে তাঁর রাজ্য যেন ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে, তা নিশ্চিত করতে। 

[আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর হাতে ‘যশ’ পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট তুলে দিলেন মমতা, এড়ালেন রিভিউ মিটিং]

মঙ্গলবার ওড়িশার বালেশ্বরের কাছেই আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ‘ বা ‘ইয়াস’। সেসময় হাওয়ার গতিবেগ ছিল ১৩০ কিলোমিটারের উপরে। উপকূলবর্তী রাজ্যটিতে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে যশ। তবে, প্রশাসনের তৎপর থাকায় বড়সড় প্রাণহানি এড়ানো গিয়েছে। প্রাণ গিয়েছে ৩ জনের। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ওড়িশায় সম্পত্তিহানিও হয়েছে আশঙ্কার থেকে অনেক কম। তাই করোনা পরিস্থিতিতে আর কেন্দ্রের বোঝা বাড়াতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। বরং তিনি জোর দিতে চান স্থায়ী পরিকাঠামো গড়ার দিকে। আর সেকাজেই সাহায্য চান কেন্দ্রের। যদিও, শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের ইচ্ছাতেই ওড়িশাকে ক্ষতিগ্রস্ত তিন রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন। বাংলা-ঝাড়খণ্ড যেখানে সম্মিলিতভাবে ৫০০ কোটি টাকা সাহায্য পেয়েছে, সেখানে ওড়িশা একাই পেয়েছে ৫০০ কোটির সাহায্য। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement