সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্ভলের সপা সাংসদের বিরুদ্ধে পর পর 'অ্যাকশন' যোগী সরকারের। গত ২৪ ঘণ্টায় তল্লাশি অভিযান, এফআইআর, বিদ্যুৎ সংযোগ কাটার পর এবার বুলডোজার চলল জিয়াউর রহমানের বাড়িতে। বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল বাড়ির সামনের সিঁড়ির অংশ। গোটা ঘটনার পিছনে বিজেপির প্রতিহিংসার রাজনীতি দেখছে সপা।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, সাংসদ যেখানে বাড়ি তৈরি করেছেন তার জন্য পুরসভা থেকে অনুমতি নেওয়া হয়নি। যার জন্য আগেই তাঁকে পুরসভার আধিকারিকদের তরফে দুই বার নোটিস পাঠানো হয়। শুধু তাই নয়, অভিযোগ তোলা হয়েছে বাড়ির পাশের নিকাশি নালার উপর সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে সিঁড়ি নির্মাণ করেছেন তিনি। এই অভিযোগেই শুক্রবার পুরসভার তরফে বুলডোজার এনে বাড়ির সিঁড়ির অংশ ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
বেআইনি ভাবে অধিক পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহারের অভিযোগে গতকালই জিয়াউরের বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দিয়েছিল উত্তরপ্রদেশের বিদ্যুৎ দপ্তর। অভিযোগ তোলা হয়, ওই বাড়িতে যত লোডের বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়া হয় তার চেয়ে ৮ গুণ বেশি বিদ্যুৎ খরচ করছিলেন সাংসদের পরিবার। উত্তরপ্রদেশ বিদ্যুৎ পর্ষদ জানিয়েছে, দুই কিলোওয়াটের মিটার নিয়েছিলেন জিয়াউর। অথচ তাঁর বাড়িতে খরচ হচ্ছে ১৬.৫ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ। পাশাপাশি, ১০ কিলোওয়াটের সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল রয়েছে। পাঁচ কিলোওয়াটের একটি জেনারেটরও রয়েছে। অভিযোগ, জিয়াউরের বাড়ির সৌরবিদ্যুতের প্যানেল খারাপ হয়ে গিয়েছে। তার পরেও প্রচুর বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা হচ্ছে সেখানে। যার জেরেই কেটে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ সংযোগ। এবার তাঁর বাড়িতে চলল বুলডোজার অ্যাকশন।
তবে গোটা ঘটনার পিছনে যোগী সরকারের প্রতিহিংসার রাজনীতি হিসেবে দেখছে উত্তরপ্রদেশের বিরোধী দল সপা। অভিযোগ, সম্ভল হিংসার ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ নিতে না পেয়ে ঘুরপথে হেনস্থা চলছে। উল্লেখ্য, মুঘল আমলের এক মসজিদের সমীক্ষার বিরুদ্ধে প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে গত মাসে তীব্র হিংসা ছড়ায় সম্ভলে। ঘটনার একদিন পর, সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জিয়াউর রহমান বারক এবং স্থানীয় সপা বিধায়ক ইকবাল মেহমুদের ছেলে সোহেল ইকবালের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়। অভিযোগ করা হয়, পিতা ও পুত্র দুজনের উস্কানিমূলক ভাষণের জেরে হিংসা মাত্রাছাড়া আকার নেয়। যার জেরে একাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। এর পর থেকে একের পর ওই সাংসদের বিরুদ্ধে একের পর এক পদক্ষেপ শুরু করে যোগী সরকার।