সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৭ বিধানসভা নির্বাচনে যাদের হাত ধরে কংগ্রেস ভাল ফল করেছিল তাদের মধ্যে অন্যতম অল্পেশ ঠাকুর। তরুণ এই দলিত নেতা প্রভাবশালী ঠাকুর সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। লোকসভা ভোটের আগে তিনিই কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন। সূত্রের খবর, তাঁর সঙ্গে দল ছাড়তে পারেন আরও দুই বিধায়ক। সূত্রের খবর, টিকিট না পেয়েই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই কংগ্রেস নেতা।
[আরও পড়ুন: আমেঠি থেকে মনোনয়ন জমা রাহুলের, সঙ্গী প্রিয়াঙ্কার দুই সন্তান-সহ গোটা পরিবার]
বেশ কিছুদিন ধরেই অল্পেশ ঠাকুরের দল ছাড়া নিয়ে জল্পনা চলছিল। মাসখানেক আগেই রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখাও করেছিলেন অল্পেশ। রাহুলকে নিজের অভিযোগের কথা জানান। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি তাঁর দাবিদাওয়া মেনে নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছিলেন বলে সূত্রের খবর। এরপর নিজের মুখেই দল ছাড়া নিয়ে যাবতীয় জল্পনার অবসান ঘটিয়ে জানিয়েছিলেন, তিনি কংগ্রেসের সঙ্গেই কাজ করতে চান।
আসলে, অল্পেশ নিজে পাটন লোকসভা থেকে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। তাঁর সংগঠন গুজরাট ক্ষত্রিয় ঠাকুর সেনা, চাইছিল সবরকণ্ঠ লোকসভা কেন্দ্রটিতেও তাদের সংগঠনের কোনও সদস্যকে প্রার্থী করুক কংগ্রেস। কিন্তু, প্রার্থী ঘোষণার পর দেখা যায় কোনও দাবিই মানেনি রাহুল গান্ধীর দল। তাই মঙ্গলবারই জরুরি বৈঠক ডাকে ঠাকুর সেনা। তাঁরা জানিয়ে দেয়, কংগ্রেসের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করছে তাদের সংগঠন। এমনকী অল্পেশকেও জানিয়ে দেওয়া হয়, কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে হলে ঠাকুর সেনার সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে তাঁকে।
[আরও পড়ুন: ৬৬০ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের ছেলে]
সূত্রের খবর, নিজের সংগঠনের চাপেই শেষ পর্যন্ত ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছেন অল্পেশ। তাঁর সঙ্গে দল ছাড়তে পারেন আরও দুই বিধায়ক। ভোটের মুখে এহেন প্রভাবশালী নেতা দলত্যাগ করায় গুজরাটে কংগ্রেস যে ক্ষতিগ্রস্ত হল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিধানসভার ভাল ফলের উপর ভর করে এবারের লোকসভায় মোদির রাজ্যে বেশ কয়েকটি আসন ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। সেই লক্ষ্যে দলে টেনেছিলেন হার্দিক প্যাটেলকেও। কিন্তু, ভোটের মুখে যেভাবে তাঁর দল ভাঙছে, তাতে রাহুলের সেই লক্ষ্য কতটা পূরণ হবে তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।