সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঈশ্বরের হাত। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে মারাদোনার সেই বিতর্কিত গোলের পর থেকে যে শব্দবন্ধ অমর হয়ে গিয়েছে। এবার মহাকাশে দেখা মিলল আর এক 'ঈশ্বরের হাতে'র (God's Hand)। ডার্ক এনার্জি ক্যামেরার তোলা একঝাঁক ছবিগুচ্ছের মধ্যেই বিজ্ঞানীরা দেখা পেলেন তার। মুগ্ধ হলেন এক মহাজাগতিক সৌন্দর্যের।
ব্যাপারটা ঠিক কী? সহজে বললে এটা আসলে জমাট বাঁধা অপার্থিব ধুলো ও মেঘের আস্তরণ। গ্লোবিউল 'ধূমকেতু'রই অংশ। চিলির ভিক্টর এম ব্ল্যাঙ্কো টেলিস্কোপে যুক্ত করে দেওয়া ডার্ক এনার্জি ক্যামেরায় (Dark Energy Camera) ধরা পড়েছে সেই ছবিই। ১৯৭৬ সালে প্রথমবার এই 'ধূমকেতু'টি আবিষ্কৃত হয়। এবং সেটাও দুর্ঘটনাক্রমে। ব্রিটেনের স্কমিড টেলিস্কোপে নিরীক্ষণ করার সময় আকস্মিক ভাবেই এটির দেখা পান বিজ্ঞানীরা।
[আরও পড়ুন: কাঁথিতে বিজেপির প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপিই! আদি-নব্য কাঁটা চিন্তা বাড়াচ্ছে গেরুয়া শিবিরে]
আসলে অবশ্য এটা কোনও ধুমকেতুই নয়। জমাট বাঁধা গ্যাস ও ধুলো। এর আকৃতি অনেকটাই ধূমকেতুরই মতো। রয়েছে হালকা উজ্জ্বল লেজও। এর ভিতরে রয়েছে সদ্যোজাত তারা। কাছাকাছি থাকা নক্ষত্রগুলির তেজস্ক্রিয়তার ধাক্কায় যাদের জন্ম। এরকম অনেক 'গ্লোবিউল'ই রয়েছে। কিন্তু আমাদের এই আকাশগঙ্গায় অবস্থিত এই বিশেষ গ্লোবিউলটি দেখলে মনে হয় যেন এক মহাজাগতিক হাত। যে কোটি কোটি আলোকবিন্দু মিলে মহাকাশের ক্যানভাসে নির্মাণ করেছে একে। পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব ১০০ মিলিয়ন আলোকবর্ষ! তবে নামে 'ঈশ্বরের হাত' হলেও এর সঙ্গে যে আধ্যাত্মিকতার কোনও যোগ নেই তা বলাই বাহুল্য। কেবল মহাজাগতির সৌন্দর্যের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই এহেন নামকরণ।