সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ে উচ্ছ্বসিত এলন মাস্ক। কিন্তু ট্রাম্প জিতে যাওয়ায় আতঙ্কে ভুগছেন সেই মাস্কেরই কন্যা। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পরে মাস্কের কন্যা সোশাল মিডিয়ায় সাফ লেখেন, আগামীদিনে আমেরিকায় তাঁর কোনও ভবিষ্যৎ নেই। দেশ ছেড়ে চলে যাওয়াই উচিত বলে মনে করছেন মাস্ককন্যা।
কেন এমন মত মার্কিন ধনকুবেরের মেয়ের? আসলে মাস্কের কন্যা একজন রূপান্তরকামী। মাস্কের সঙ্গে এই মুহূর্তে সম্পর্ক নেই তাঁর সন্তানের। ধনকুবেরের সন্তান জেভিয়ার আলেকজান্ডার মাস্ক ২০২১ সালের জুন মাসে আবেদন করেন তাঁর নাম বদলের। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, তাঁর ‘বায়োলজিক্যাল’ বাবার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবেন তিনি। মাস্কের ষোড়শী কন্যা ভিভিয়ান জেন্না উইলসন তাঁর কাকিমাকে বলেছিলেন, তিনি লিঙ্গ পরিবর্তন করে পুরুষ হতে চান। সেই সঙ্গে এও বলেছিলেন, কোনওভাবেই যেন মাস্ক যেন তা জানতে না পারেন।
২০২১ সালের পর বদলে গিয়েছে আমেরিকার সরকার। রূপান্তরকামীদের প্রবল বিরোধী ট্রাম্প ফিরে এসেছেন কুর্সিতে। তাতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন মাস্ক কন্যা ভিভিয়ান। সোশাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, "আমি বহুদিন ধরেই ভেবেছি। তবে এখন নিশ্চিত হলাম, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমার কোনও ভবিষ্যৎ নেই। যদিও উনি (ট্রাম্প) মাত্র ৪ বছর ক্ষমতায় থাকবেন, হয়তো রূপান্তরকামীদের উপর আচমকাই কোনও নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে না। কিন্তু যেসমস্ত মানুষ বিপুল ভোট দিয়ে ট্রাম্পকে জিতিয়েছেন, তাঁরা তো থাকবেনই।"
সোশাল মিডিয়ায় মেয়ের এমন বিস্ফোরক মন্তব্য দেখে মাস্কের দাবি, "আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে।" উল্লেখ্য, মেয়ের রূপান্তরিত হওয়ার বিষয়টিকে বরাবরই খুব নেতিবাচকভাবে দেখেছেন টেসলাকর্তা। তাঁর বইয়ে লিখেছিলেন, তাঁর মেয়ে একজন বামপন্থী। এবং এর পিছনে রয়েছে মেয়ের স্কুল। মূলত ওই স্কুলের প্রভাবেই সন্তানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর আরও দাবি, ওই স্কুলই তাঁর একদা কন্যার ‘ব্রেনওয়াশ’ করে বুঝিয়েছিল ধনী মাত্রেই খারাপ মানুষ। উল্লেখ্য, ট্রাম্পের মতোই মাস্কও প্রবলভাবে রূপান্তরকামীদের বিরোধী।