সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৫ দিন পরেও অব্যাহত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War)। অব্যাহত মৃত্যু-মিছিল। সেনাকর্মীদের পাশাপাশি মৃত্যু হচ্ছে সাধারণ মানুষের। বাদ যাচ্ছে না শিশুরাও। প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছাড়ছে অসহায় পরিবার। ফলে ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশগুলির শরণার্থী শিবিরগুলি ভরে উঠেছে অসংখ্য অসহায় শৈশবে। এই অবস্থায় এবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে মানবিক ভূমিকায় এগিয়ে এলেন ডেভিড বেকহ্যাম (David Beckham)। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের শিশুদের পাশে দাঁড়াতে নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টটিকে ব্যবহার করতে দিলেন তিনি। উদ্দেশ্য একটাই। তা হল ওই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অসহায় ছোটদের পাশে দাঁড়াতে পারে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা তাঁর ভক্তরা।
এর আগে নোভাক জকোভিচ (Novak Djokovic), অ্যান্ডি মারের (Andy Murray) মতো ক্রীড়াজগতের তারকাদেরও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে মানবিক ভূমিকাতে দেখা গিয়েছে। এবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টটিকে কাজে লাগিয়ে বেকহ্যাম যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের শিশুদের পাশে দাঁড়ালেন। উল্লেখ্য, ইনস্টাগ্রামে বেকহ্যামের ফলোয়ার সংখ্যা ৭১.৬ মিলিয়ন। জানা গিয়েছে, ইউক্রেনের এক চিকিৎসকের হাতে নিজের সেই অ্যাকাউন্টটি তুলে দিয়েছেন বেকহ্যাম। ওই চিকিৎসকের নাম ইরিনা। তিনি বেকহ্যামের ইনস্টা অ্যাকাউন্টে তুলে ধরছেন পুতিনের বাহিনীর আক্রমণে ‘মৃত্যুপুরী’ ইউক্রেনে কীভাবে বেঁচে আছে শিশুরা।
[আরও পড়ুন: স্কটল্যান্ডের রাস্তায় পরমাণু অস্ত্রের কনভয়! এবার কি আণবিক যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ন্যাটো?]
গোটা বিশ্বের মানুষের সামনে তুলে ধরা হয়েছে এমন কিছু বেসমেন্টের ছবি যেখানে রুশ গোলার থেকে প্রাণ বাঁচাতে বর্তমানে যেখানে আশ্রয় নিয়েছেন গর্ভবতী ও নবজাতকরা। বেকহ্যামের ইনস্টা অ্যাকাউন্টে ইরিনা একটি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের ছবি তুলে ধরেছেন, যেটি আদতে কিয়েভের একটি ভবনের বেসমেন্ট। এটাই এখন সেখানকার স্বাভাবিক জীবন।
এদিকে একটি ভিডিওয় বেকহ্যাম তাঁর ফলোয়ারদের অনুরোধ করেছেন, আপনারা সাধ্য মতো দান করুন। সেই দান থেকেই পানীয় জল, খাবার ও চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনা হবে। পাশে দাঁড়ানো যাবে ইউক্রেনের শিশুদের। অন্যদিকে যাঁর হাতে নিজের ইনস্টা অ্যাকাউন্টটি তুলে দিয়েছেন বেকহ্যাম, সেই ইরিনা জানিয়েছেন, বর্তমানে ২৪ ঘণ্টা করে কাজ করছেন তাঁর মতো চিকিৎসা কর্মীরা। ইরিনা বলেছেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়েই কাজ করে চলেছি আমরা। আমরা আমাদের কাজকে ভালবাসি। ডাক্তার, নার্সরা এখানে আছে। তবে আমরা ভয়ে রয়েছি। পরিস্থিতির ভয়বহতায় আমরা অনেক সময় কেঁদে ফেলছি, কিন্তু হাল ছাড়ছি না।
[আরও পড়ুন: চিনে মাঝ আকাশে ভেঙে পড়ল যাত্রীবাহী বিমান, শতাধিক যাত্রীর মৃত্যুর আশঙ্কা]
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সাল থেকে ইউনিসেফের অ্যাম্বাসাডর কিংবদন্তি ইংলিশ ফুটবলার ডেভিড বেকহ্যাম। ইউনিসেফের তরফে খারকিভের ইউক্রেনের প্রসূতি ও সদ্যোজাতদের জন্য অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে।