ডেভিড ওয়ার্নার: সারা বিশ্ব জানে, অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটটা কীভাবে খেলে। টাফ ক্রিকেট আমাদের রক্তপ্রবাহে। আমাদের পরীক্ষায় যদি কেউ পাশ করে, তবে তাকে ভালবাসতেও কসুর করি না। শচীন সম্ভবত বিশ্বের একমাত্র খেলোয়াড় যে অস্ট্রেলীয় না হয়েও আমাদের দেশে স্ট্যান্ডিং ওভেশন পেয়েছে।
ওর দিকে তাকিয়ে মাঝে মাঝে ভাবি, একটা মানুষ টানা প্রায় আড়াই দশক ধরে এমন নিরবচ্ছিন্নভাবে পারফর্ম করে যেতে পারে কী করে! একটা মানুষের ঝুলিতে কী আছে? না, একশোটা আন্তর্জাতিক শতরান, সব মিলিয়ে ৩৫ হাজার রান- এ যেন জাদুবাস্তবতার শ্রেষ্ঠ নিদর্শন। তাও এমন এক দেশের মানুষ শচীন (Sachin Tendulkar), যেখানে ক্রিকেটকে প্রায় ধর্মের মর্যাদা দেওয়া হয়, সেখানে ভগবানের আসনে বসাতেও যেমন পিছপা নন ভক্তরা, তেমনই একটু ভুলচুক হলে সমালোচনার ছুরিতে ফালাফালাও হয়ে যেতে হয়। এই নিষ্ঠুর সত্যির ভিতর বসেই শচীন ফুল ফুটিয়ে গিয়েছেন অবিরত।
[আরও পড়ুন: ‘চাপ সামলানোর ক্ষমতা ছিল ঐশ্বরিক’, ৫০ তম জন্মদিনে শচীনকে নিয়ে আবেগপ্রবণ সানিয়া]
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওর সাফল্যের দিকে তাকালেও বিস্মিতই হতে হয়। সেরা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে শচীন নিজেকে নিংড়ে দিয়েছে। আমরাও অবাক হয়ে দেখেছি, কী বিপুল প্রতিভা থাকলে এভাবে একজন খেলতে পারে। স্টিভ ওয়ার অবসরের টেস্টে শচীন যে ইনিংস খেলেছিল, তা কে বা ভুলতে পেরেছে! টানা ৬৪১ মিনিট খেলে গেল, অথচ নিজের পছন্দের শটটি একবারের জন্যও খেলল না। এরকম ধৈর্যের নজির সম্ভবত ক্রিকেট-ইতিহাসে আর দ্বিতীয়টি নেই। পরিষ্কার বলছি, ক্রিকেট যদি ধর্ম হয় আক্ষরিক অর্থেই তবে শচীন যাজক, সত্যিকারের ধর্মপ্রচারক।