অর্ণব দাস, বারাকপুর: বেলঘড়িয়ায় (Belgharia) তিন ভাইবোনের রহস্যমৃত্যু। পুকুরে মিলেছে দাদার দেহ। ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে দুই-ভাইবোনের দেহ। ভাই-বোনকে খুন করে দাদা আত্মঘাতী হয়েছেন? নাকি তিনজনই আত্মঘাতী, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে প্রাথমিকভাবে অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন তিনজনই।
জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম বিমল চৌধুরী, সজল চৌধুরী ও রানু চৌধুরী। দীর্ঘদিন ধরে উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘড়িয়ার পূর্ব পাড়ার প্রিয়নাথ গুহ রোড এলাকার আবাসনে থাকতেন তাঁরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে আবাসনের পাশের একটি জলাশয়ে দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় থানায়। এরপরই পুলিশ গিয়ে পুকুর থেকে উদ্ধার করে সজল চৌধুরীর দেহ। এতেই সন্দেহ দানা বাঁধে পুলিশ ও প্রতিবেশীদের মনে।
[আরও পড়ুন: বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কট বার অ্যাসোসিয়েশনের, জানেনই না সভাপতি অরুণাভ ঘোষ!]
পুলিশ হাজির হয় চৌধুরীদের আবাসনে। সেখানে মেলে বিমল ও রানু চৌধুরীর নিথর দেহ। তড়িঘড়ি দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই প্রবল শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। কীভাবে মৃত্যু হল এই তিন ভাইবোনের? স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রানু চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। চিকিৎসাও চলছিল। বিমল চৌধুরীরও মানসিক ও শারীরিক সমস্যা ছিল। এদিকে সজল চৌধুরীর বাজারে প্রচুর ধার ছিল। ফলে সবমিলিয়ে আর্থিক সমস্যা একটা ছিল। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সমস্যায় জেরবার হয়েই আত্মঘাতীর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনজন। যদিও বিষয়টা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে, রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।