সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাখে হরি মারে কে? এই প্রবাদই ফের একবার সত্যি প্রমাণিত হল রাজধানী দিল্লিতে। ২২ সপ্তাহের যে অকালজাত শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেছিলেন ডাক্তাররা, শ্মশানে শেষকৃত্য করার আগে সেই শিশুই কেঁদে উঠে দিল জীবিত হওয়ার প্রমাণ। ঘটনায় হতবাক খোদ চিকিৎসককূলও।
[ঘুষ নিতে গিয়ে সিবিআইয়ের জালে সেনা আধিকারিক]
ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে। ২২ সপ্তাহের গর্ভাবস্থা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এক মহিলা। তাঁর শিশুর ওজন ছিল ৪৬০ গ্রাম। হাসপাতাল সুপারিটেনডেন্ট ডা. এ কে রাই জানান, রক্তপাত হতে শুরু করেছিল ওই মহিলার। WHO-এর নিয়ম অনুযায়ী, গর্ভাবস্থায় জটিলতা তৈরি হলে এবং শিশুর ওজন ৫০০ গ্রামের কম হলে গর্ভপাত করা যাবে। সেই অনুযায়ী, অস্ত্রোপচার করা হয় ওই মহিলার। তাঁর সন্তানের বাঁচার কোনও আশাই ছিল না। এমনকী, ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরও শিশুর শরীরে কোনও মুভমেন্ট দেখা যায়নি। কেঁদেও ওঠেনি সে। সেই কারণেই তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল।
শিশুর বাবার কথায়, মৃত শিশু হয়েছে বলেই সিল করা প্যাকেটে করে শিশুর দেহ তাঁর হাতে দেওয়া হয়। সেই মতো শিশুর শেষকৃত্যের ব্যবস্থাও করেছিলেন তিনি ও তাঁর পরিবারের লোকেরা। কিন্তু শ্মশানে গিয়ে যখন শিশুটিকে কবর দেওয়ার উপক্রম করা হচ্ছিল আচমকা তার অঙ্গ নড়তে দেখা যায়। নিশ্বাসও নিচ্ছিল সে। সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিশেষ কেয়ারে রাখা হয়েছে শিশুটিকে। মাত্র ২২ সপ্তাহে জন্ম হওয়ায় দুর্বলতা রয়েছে তার শরীরে। চিকিৎসকরা তাই বিশেষ পর্যবেক্ষণে রেখেছেন একরত্তিকে।
[লন্ডনে মসজিদ থেকে বের হতেই মুসলিমদের পিষল গাড়ি, ছড়াল আতঙ্ক]
যদিও এটি গর্ভপাতের ঘটনা ছিল এবং আইনত কোনও গাফিলতি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ছিল না। তাও কেন শিশুটিকে এত তাড়াতাড়ি মৃত ঘোষণা করা হল? তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন সফদরজং হাসপাতালের সুপারিটেনডেন্ট ডা. এ কে রাই। যদিও এ নিয়ে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে। কারণ মাত্র ২২ সপ্তাহের শিশুর এভাবে বেঁচে ফেরাটাই যেন ইশ্বরের অলৌকিক আশীর্বাদ তাঁদের কাছে।
[‘ভারতের হকিই খেলা উচিত’, পাকিস্তানের কাছে হারের পর কটাক্ষ ভনের]
The post শ্মশানেই কেঁদে উঠল ‘মৃত’ শিশু! তারপর… appeared first on Sangbad Pratidin.