সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন সেনাপ্রধান নির্বাচিত হওয়ার পরেই ইমরান খানকে দেখে নেওয়া হবে, হুমকি দিলেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খোয়াজা আসিফ। বর্তমান সেনা প্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া আগামী ২৯ নভেম্বর অবসর নেবেন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, তার আগেই পাকিস্তানের নতুন সেনাপ্রধানের নাম ঘোষণা করে দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, লং মার্চকে ব্যবহার করে সেনাপ্রধান নির্বাচনের প্রক্রিয়াটিকে জটিল করে তুলতে চাইছেন ইমরান, এমন কথাও শোনা গিয়েছে।
নতুন সেনাপ্রধানের নির্বাচন প্রসঙ্গে আসিফ বলেছেন, “দু’তিন দিনের মধ্যেই নতুন সেনাপ্রধান নির্বাচনের প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে। এই নিয়ে মানুষের উত্তেজনা কমে যাবে। তারপর ইমরান খানের বিষয়টি নিয়ে আমরা ভাবনা চিন্তা করব।” পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে দাঁড়িয়েই এই কথা বলেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। কিছুদিন আগেই টুইট করে তিনি বলেছিলেন, নতুন সেনাপ্রধান নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। আশা করছি পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ীই সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
[আরও পড়ুন: মধ্যযুগীয় বর্বরতা সৌদি আরবে! ১০ দিনে ১২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, গলা কেটে হত্যা]
আগামী ২৯ নভেম্বর সেনাপ্রধান হিসাবে কার্যকাল শেষ করবেন কামার জাভেদ বাজওয়া। তার আগেই ২৭ নভেম্বর নতুন সেনাপ্রধানের নাম ঘোষণা করে দেবে পাকিস্তান। প্রসঙ্গত, শনিবারেই পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাবল ভুট্টো বলেছিলেন, অগণতান্ত্রিক লং মার্চকে ব্যবহার করে সেনাপ্রধান নির্বাচনের প্রক্রিয়াটিতে রাজনীতির রং লাগাতে চাইছেন ইমরান খান। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন বিলাবল।
সেনাপ্রধান নির্বাচনের বিষয়টি নিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে ইমরানের মতবিরোধ রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মত বিরোধের কারণে দেশের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠতে পারে। সেই কারণেই পরিকল্পনা করে ২৬ নভেম্বর থেকে লং মার্চে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইমরান। এই মিছিলেই গুলি খেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সদর্পে ফিরে এসে নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার হবেন ইমরান, এমনটাই জানা গিয়েছে।