বাবুল হক, মালদহ: আবারও চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ উঠল মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্সদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়ায় পর ১৩ বছরের এক নাবালকের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাতে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় হাসপাতাল চত্বরে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ রাতে ওই হাসপাতালে পৌঁছায়। পরিবারের লোকেদের ওয়ার্ড থেকে বের করে দেওয়া হয়।
মৃত নাসিম শেখ নামে বছর তেরোর ওই নাবালক মালদহের সুজাপুরের ভাগোপাড়ার বাসিন্দা। গত চারদিন ধরে সে জ্বরে ভুগছিল। জ্বর না কমায় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রক্ত পরীক্ষা করায়। রিপোর্টে ডেঙ্গু (Dengue) পজিটিভ আসে। এদিকে ওই নাবালককে মঙ্গলবার দুপুরে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করা হয়। কিন্তু তারপরেও শারীরিক অবস্থা তেমন উন্নতি হয়নি বলে দাবি পরিবারের। এদিকে, ওইদিন সন্ধেয় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত এক নার্স ওই নাবালককে একটি ইঞ্জেকশন দেয়। এবং তারপরই তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটে। রাতে তার মৃত্যু হয়।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের আগে পাঁশকুড়ার সমবায় নির্বাচনে বিপুল জয় তৃণমূলের, বহু পিছনে বাম-পদ্ম]
পরিবারের অভিযোগ, ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়ার ফলে মৃত্যু হয়েছে ওই নাবালকের। এই ঘটনায় কর্তব্যরত নার্সের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নাবালকের পরিবারের লোকেরা। তাঁদের আরও অভিযোগ, ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর থেকেই কর্তব্যরত ওই নার্সকে ওয়ার্ডে আর দেখতে পাওয়া যায়নি। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল (Malda Medical College & Hospital) কর্তৃপক্ষ পুলিশকে ডেকে পরিবারের সদস্যদের ওয়ার্ড থেকে বাইরে বের করে দেয় বলেও অভিযোগ। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে ওইদিন রাতে মৃত নাবালকের দেহ ওয়ার্ড থেকে বার করে পরিবারে হাত তুলে দেওয়া হয়।
এই বিষয়ে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি পুরঞ্জয় সাহা জানান, ডেঙ্গু আক্রান্ত ওই নাবালককে সংকটজনক অবস্থায় বাড়ি থেকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। ভুল ইঞ্জেকশনের বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি। কোনও ভুল ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়নি। বমি করছিল সে। তা আটকাতে অনডেম ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল।