সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবার ভোররাতে তুরস্কের ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তুরস্ক (Turkey Earthquake) ও প্রতিবেশী দেশ সিরিয়াতে (Syria) মৃতের সংখ্যা ১২০০ ছাড়িয়েছে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আরও বহু মানুষ আটকে থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই অনুমান। সিরিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত মোট ৯১২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তুরস্কে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৪০০ জনের। এহেন মর্মান্তিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে তুরস্কের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। আক্রান্ত দেশকে সমস্ত সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
সিরিয়ার বেশ কয়েকটি অংশ নিয়ে বিবাদ রয়েছে তুরস্কের সঙ্গে। ভূমিকম্পের কিছুক্ষণ পরেই সেখানে ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। তারপর সিরিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাঁদের অধীনে থাকা অংশে ৪০০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। মূলত আলেপ্পো, লাটাকিয়া, হামা ও তারতুসেই সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সিরিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিবৃতি দিয়ে মৃতের সংখ্যা প্রকাশ করেছেন। তবে দুই দেশের বিবদমান অংশগুলিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ একেবারেই জানা যায়নি।
[আরও পড়ুন: তুরস্কে জোড়া ভূমিকম্প, ভয়াবহ কম্পনে মৃতের সংখ্যা একশো ছুঁইছুঁই]
ভূমিকম্পের প্রভাব নিয়ে প্রাথমিকভাবে মুখ খোলেনি তুরস্ক সরকার। প্রবল ঠাণ্ডা ও তুষারপাতের মধ্যে উদ্ধারকাজে দেরি করেছে তুরস্ক, এমনটাই অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র মারফত প্রাথমিকভাবে তুরস্ক থেকে ৭৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। দীর্ঘ সময় পরে তুরস্কের তরফে জানানো হয়, ৯১২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে বিপর্যয়ের একাধিক ছবি। সেখান থেকেই সাফ ধারণা করা যায়, হুহু করে বাড়ছে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা।
এহেন ভয়াবহ অবস্থায় তুরস্কের পাশে দাঁড়িয়েছে একাধিক দেশ। আমেরিকা, ইজরায়েল, ইউক্রেনের মতো দেশগুলি থেকে সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তুরস্কের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে টুইট করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তুরস্কের প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে তিনি লিখেছেন, “তুরস্কের ভূমিকম্পে যে অপূরণীয় ক্ষতি হল, তার জন্য আমি মর্মাহত। মৃতের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন এই কামনা করি। এই বিপদের সময়ে তুরস্কের পাশে দাঁড়িয়ে সমস্ত সাহায্য করতে প্রস্তুত ভারত।” সোমবার জরুরি বৈঠকের পর ১০০জনের উদ্ধারকারী দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। সেই সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ পাঠানো হবে।