কৃষ্ণকুমার দাস: কলকাতার (Kolkata) ৭৩ নং ওয়ার্ডে জলে বিষক্রিয়ার ঘটনায় মৃতের বেড়ে দাঁড়াল তিন। তাঁদের মধ্যে এক শিশুও রয়েছে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ভবানীপুর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আতঙ্ক কাটাতে ওই ওয়ার্ডে বাড়ি-বাড়ি বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দিচ্ছে পুর কর্তৃপক্ষ। বিষক্রিয়ার কারণ জানতে জলের নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, এই ৭৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতার ভবানীপুর কেন্দ্রের ৭৩ নং ওয়ার্ডে পুরসভা পানীয় জলে বিষক্রিয়া (Poison in Water) ঘটেছে বলে অভিযোগ। সোমবারই একজনের মৃত্যু হয়েছিল। মঙ্গলবার আরও দুজনের মৃত্যুর খবর মিলল। দুজনের মধ্যে একজন আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারের এক বিচারাধীন বন্দি। নাম রিঙ্কি তামাং। ওই জল খেয়ে সংশোধনাগারের চারজন বন্দি এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁরাও গুরুতর অসুস্থ। এদিকে শিবরাত্রির পরের দিন থেকে বমি করছিল সাড়ে চার বছরের আরুশি কুমারী। সঙ্গে পেট খারাপও ছিল তার। এর পর রাত ২টো নাগাদ আরুশিকে চিত্তরঞ্জন শিশু সদনে ভরতি করা হয়। সোমবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ তার মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এদিকে ওই পানীয় জলের পান করে শশিশেখর বোস রোডের আরও ৫-৬জন শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। তারাও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের ওরাল স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে বলে খবর।
[আরও পড়ুন : স্বামী ‘ভুয়ো’ সিবিআই অফিসার! দশ বছর ধরে সংসার করেও জানতে পারলেন না স্ত্রী]
এ ঘটনাপ্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার পানীয় জল সরবরাহ ও স্বাস্থ্যবিভাগের ডিজিকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ডিজি জানিয়েছেন, জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে। তবে সেই রিপোর্ট হাতে আসতে দুদিন সময় লাগবে। এদিকে স্থানীয় ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর রতন মালাকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, ”পানীয় জলের লাইনের সঙ্গে নিকাশি নালার সংযোগ ঘটে যাওয়ায় জলে বিষক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তবে রবিবার রাতেই সেই পাইপ মেরামত করে দেওয়া হয়েছে।”
তবে এলাকাবাসীর আতঙ্ক এখনও কাটেনি। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে অনেক। মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে শ্রমিক আবাসনে। পুরসভার জল পান করতে কার্যত ভয় পাচ্ছেন সকলে। আতঙ্ক কাটাতে বিশুদ্ধ জল সরবরাহ করা হচ্ছে পুরসভার তরফে। তবে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, অনেকে বিষয়টি নিয়ে অযথা ভয় পাচ্ছেন। কেউ কেউ ভুয়ো খবরও দিচ্ছেন। কিন্তু বিষয়টি পুর প্রশাসন সতর্কতার সঙ্গেই দেখছে। যদি বিষক্রিয়া ভয়ংকর হতো, তবে তো অনেকেরই সমস্যা হতো।