সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাক (Pakistan) জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার প্রধান ও ২৬/১১ মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সইদের (Hafiz Saeed) বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল দিল্লির এক আদালত। জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে আর্থিক মদত দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। কেবল হাফিজই নয়, তার আরও তিন সঙ্গীর বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
যদিও হাফিজের এই তিন সঙ্গী ইতিমধ্যেই গারদের পিছনে রয়েছে। এরা হল কাশ্মীরের ব্যবসায়ী জাহর আহমেদ শাহ ওয়াতালি, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর ব্যবসায়ী নাভাল কিশোর কাপুর এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা আলতাফ আহমেদ শাহ ওরফে ফান্টুস। এই আর্থিক দুর্নীতির মামলায় চার্জশিট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ED। সেই চার্জশিটের ভিত্তিতেই জারি হল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। এদিন আদালতে ইডির আইনজীবী নীতেশ রানা অভিযোগ করেন, অভিযুক্তরা জম্মু ও কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও বিধ্বংসী কার্যকলাপের ফন্দি এঁটেছিল। তাঁর অভিযোগ, তারা একটা নেটওয়ার্ক তৈরি করে ফেলেছিল। ওই নেটওয়ার্কের সাহায্যেই পাক এজেন্সিগুলোর টাকা আসত হাওয়ালার মাধ্যমে। টাকা আসত অন্যান্য দেশ থেকেও।
[আরও পড়ুন: ‘ক্ষমতার দম্ভ পেয়ে বসছে’, কৃষি আন্দোলন নিয়ে বিজেপিকেই কাঠগড়ায় তুলল আরএসএস!]
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রসংঘের ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী’ তকমা পাওয়া হাফিজ সইদকে অবশ্য সাজা শুনিয়েছে পাকিস্তানও। গত ডিসেম্বরেই তাকে ১৫ বছরের জন্য জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তানের একটি আদালত। সব মিলিয়ে গত বছর মোট চারটি মামলায় হাফিজকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। কিন্তু সেই সাজা নিয়েও নানা সন্দেহ রয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। আসলে আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা এফএটিএফের রোষানল থেকে বাঁচতে মরিয়া ইসলামাবাদ। তাই যে করেই হোক ভাবমূর্তি শোধরাতে চাইছে তারা। তারই ফলশ্রুতি হাফিজ, লকভির মতো আরও জঙ্গিদের বিরুদ্ধে করা নানা পদক্ষেপ। কিন্তু তার মধ্যে সত্যতা কতটা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েই যাচ্ছে। সূত্রের খবর, নিজের বাড়িতেই রয়েছে হাফিজ। এই পরিস্থিতিতে এবার হাফিজের বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করল দিল্লির আদালত।