সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গড়াপেটার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হলেন বাঙালি কোচ সৌম্যদীপ রায় (Soumyadip Roy)। টেবিল টেনিস ফেডারেশনের কার্যকরী সমিতিকে ছয় মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হল। নিয়োগ করা হল অ্যাডমিনিস্ট্রেটর। এমন ঘটনা স্মরণকালের মধ্যে ঘটেনি দেশের টেবিল টেনিসে। সৌম্যদীপের বিরুদ্ধে ম্যাচ গড়াপেটার মতো বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছিলেন মণিকা বাত্রা (Manika Batra)। দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। এদিন দিল্লি হাই কোর্টের রায়ে ফিক্সিংয়ের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন সৌম্যদীপ।
মণিকার অভিযোগ ছিল, গত বছরের মার্চ মাসে অলিম্পিকের যোগ্যতা অর্জন পর্বের একটি ম্যাচ ছেড়ে দেওয়ার জন্য তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন সৌম্যদীপ। আর ঠিক এই কারণেই টোকিও অলিম্পিক্সে জাতীয় দলের কোচের অধীনে খেলতে রাজি হননি। নিজের ব্যক্তিগত কোচকে সঙ্গে নিয়েই প্র্যাকটিস করেছিলেন।
[আরও পড়ুন: নিজেকে গুটিয়ে নিতে চান অভিমানী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়! সিদ্ধান্ত সোমবার]
তবে অলিম্পিকের নিয়ম অনুযায়ী, টিম হিসেবে প্রতিযোগিতায় অংশ নিলে ব্যক্তিগত কোচ ম্যাচের সময় পরামর্শ দিতে পারেন না। তাই সাইড লাইনে কোনও কোচের উপস্থিতি ছাড়া একাই খেলতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু তাঁর নেপথ্যে যে এমন কোনও কারণ লুকিয়ে, এ অভিযোগ আগে তোলেননি মণিকা। পরে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। শুক্রবার দিল্লি হাই কোর্টের রায়ে সৌম্যদীপ অভিযুক্ত হয়েছেন। পাশাপাশি সর্বভারতীয় টেবল টেনিস ফেডারেশনকেও ৬ মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে।
মণিকা ও সৌম্যদীপকে নিয়ে উত্তাল হয়েছিল দেশের টেবল টেনিস মহল। সৌম্যদীপের তত্ত্বাবধানে অলিম্পিকে খেলতে চাননি কেন মণিকা? এই প্রশ্ন তুলে তাঁকে শোকজ করেছিল জাতীয় টেবিল টেনিস ফেডারেশন (TTFI)। তারই উত্তরে মণিকা লিখেছিলেন, গত বছরের মার্চে দোহায় অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন কারী পর্বে তাঁকে ম্যাচ ছেড়ে দেওয়ার চাপ দিয়েছিলেন সৌম্যদীপ। তাঁর ছাত্রীর বিরুদ্ধে যাতে ম্যাচ ছেড়ে দেন মণিকা, এই কারণেই চাপ দেওয়া হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল, সৌম্যদীপের ছাত্রী যাতে অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জন করতে পারেন। সেই সময়ে মণিকা বাত্রা এমন অভিযোগ এনেছিলেন সৌম্যদীপের বিরুদ্ধে।