সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পরামর্শ গ্রহণ করল না দিল্লির কেজরিওয়াল সরকার। দূষণের বিপদ থেকে রক্ষা পেতে এখনই লকডাউনে রাজি নয় প্রশাসন। বরং স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দূষণের হাত থেকে রাজধানীর জনতাকে বাঁচানোর পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আগামী ৭ দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বন্ধ থাকবে সরকারি অফিস। কর্মীরা বাড়ি থেকে কাজ (Work from home) করবেন। এছাড়া আগামী ৩ দিন বন্ধ থাকবে সমস্ত নির্মাণকাজও। এমনই কয়েকটি পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে বলে জানালেন কেজরিওয়াল।
দীপাবলির পর থেকেই দিল্লির দূষণমাত্রা (Pollution) বাড়ছিল। এবার তা বিপজ্জনক মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছে। শনিবার সকালে দিল্লির দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, বায়ুতে দূষণমাত্রার সূচকের গড় ৪৭১-এ পৌঁছেছিল। কোনও কোনও এলাকায় তা ৪৮০ পেরিয়ে যায়। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির এনভি রামানার বেঞ্চ পরামর্শ দেয়, দূষণের হাত থেকে জনতাকে বাঁচাতে আগামী ২ দিন সম্পূর্ণ লকডাউন করা হোক দিল্লি শহরে। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কেজরিয়াল একটি জরুরি বৈঠকে বসেন। দীর্ঘক্ষণ বৈঠকের পর লকডাউন জারি করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে প্রশাসন। অন্যান্য বেশ কয়েকটি বিধিনিষেধ জারি করে দূষণ কমানোর পক্ষেই সওয়াল করেন প্রশাসনিক কর্তারা।
[আরও পড়ুন: মাও দমনে বিরাট সাফল্য, মহারাষ্ট্রের গড়চিরৌলিতে পুলিশি অভিযানে নিকেশ ২৬ মাওবাদী]
এত পরিমাণ দূষণের কারণ হিসেবে কেজরিওয়ালের বৈঠকে উঠে আসে NCR এবং পার্শ্ববর্তী রাজ্য পাঞ্জাব, হরিয়ানার ফসল পোড়ানোর (Stubble burning) কারণ। এই মরশুমে শস্যের পড়ে থাকা অংশ পুড়িয়ে ফেলেন কৃষকরা। আর সেই ধোঁয়ায় মারাত্মক দূষণ ছড়ায়। গত কয়েকবছর ধরে এই বিপদের মুখে পড়েই দিল্লির পরিবেশ অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে উঠছিল। এ নিয়ে গতবছর সুপ্রিম কোর্টে মামলাও হয়েছিল। এবারও সেই একই সমস্যা। বৈঠকে কেজরিওয়াল বলেন, সবাইকে একজোট হয়ে দূষণ প্রতিরোধে নামতে হবে। এ নিয়ে তিনি পাঞ্জাব-হরিয়ানা প্রশাসনের সাহায্য চান। তবে আপাতত দিল্লি প্রশাসন একাই রূপরেখা তৈরি করে দূষণ নিয়ন্ত্রণে নেমেছে। ১৪ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত রাজধানীতে বন্ধ সমস্ত নির্মাণকাজ। স্কুল, কলেজ বন্ধ আগামী ৭ দিন। সরকারি অফিসের কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে হবে।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে বিএসএফের ‘ক্ষমতা বৃদ্ধি’র প্রতিবাদে ফের সরব তৃণমূল, সংসদ অচল হওয়ার আশঙ্কা]
পাঞ্জাব সরকারও এ নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে। মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপটেন অমরিন্দর সিং কড়াকড়ি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। ফসল পুড়িয়ে পরিবেশ দূষণ বাড়ালে মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা করা হয়েছে।