সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্ন মোতাবেক কি ডিজিটাল হচ্ছে ভারত? কারণ, চলতি বছরের জুন থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে দেশ জুড়ে ৩৫৮টি এটিএম বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যা মোট এটিএমের সংখ্যার নিরিখে ০.১৬ শতাংশ। একঝলকে মনে হতে পারে, মোট এটিএমের সংখ্যার তুলনায় সম্প্রতি বন্ধ হয়ে হওয়া এটিএমের সংখ্যাটা হয়তো খুব একটা বেশি নয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে, ভারতে গত চারবছরে এটিএমের সংখ্যা ১৬.৪ শতাংশ হারে বেড়েছে, কখনই কমেনি। এই প্রথম এটিএমের সংখ্যা কমতে শুরু করল।
[জাতীয় সংগীত বিতর্কে মুখ খুলে নেটিজেনদের রোষের মুখে গম্ভীর]
সূত্রের খবর, নোট বাতিলের পর এটিএমের ব্যবহার খানিকটা হলেও কমেছে। কারণ, অনেকেই বর্তমানে ডিজিটাল লেনদেনে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। ব্যাঙ্কগুলির পক্ষে বেড়েছে এটিএম চালানোর খরচ। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, ভারতে যাদের এটিএম সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, তারাও আগস্ট মাসে এটিএমের সংখ্যা ৫৯,২৯১ থেকে কমিয়ে ৫৯,২০০-তে নামিয়ে এনেছে। বস্তুত, নোট বাতিলের পর গ্রাহকদের খরচের ধরনে বদল এসেছে। ব্যাঙ্ক কর্তারা বলছেন, মানুষ এখন এটিএমে ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে টাকা না তুলে সরাসরি দোকানে বা শপিং মলে কার্ড ব্যবহার করছেন। ছোটখাটো দরকারেও এখন অনেকেই কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন করছেন।
একই পথে হেঁটেছে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কও। ১০,৫০২ থেকে তাদের এটিএম কমে ১০,০৮৩-তে এসে দাঁড়িয়েছে। এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের এটিএমও ১২,২৩০ থেকে কমে ১২,২২৫-এ এসে দাঁড়িয়েছে। ব্যাঙ্কগুলি জানিয়েছে, কোনও প্রাইম লোকেশনে (যেমন চেন্নাই, মুম্বইয়ের বিমানবন্দরে) ৭ফুটx৫ফুটের এটিএম কিয়ক্স চালানোর খরচ প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। সেই সঙ্গে রয়েছে নিরাপত্তারক্ষী, বিদ্যুৎ, রক্ষণাবেক্ষণের খরচ। সবমিলিয়ে প্রতি মাসে লাখখানেক টাকা পর্যন্ত ছুঁতে পারে। তাই ব্যাঙ্কগুলির পক্ষে সেই খরচ চালানো সম্ভব হচ্ছে না। আর একে একে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এটিএম। কিন্তু এতে মোটেও খুশি নন সাধারণ মানুষ। তাঁদের অনেকের অভিযোগ, আগে তাও যে সব এটিএমগুলি খোলা থাকত, নোট বাতিলের পর সেই এটিএমগুলিও বিকল। অনেক এটিএম খোলা থাকলেও টাকা থাকে না। থাকলেও বড় নোট থাকে যা সাধারণত ছোট ও মাঝারি দোকানিরা নিতে চান না।
[আইএস জঙ্গিদের মদত প্রবীণ কংগ্রেস নেতার, অভিযোগে শোরগোল]
The post ডিজিটাল হচ্ছে ভারত? তিন মাসে বন্ধ ৩৫৮টি এটিএম appeared first on Sangbad Pratidin.