সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা অতিমারীর মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ডেনমার্ক (Denmark)। ইতিমধ্যেই প্রায় দেড় কোটি মিঙ্ককে (Mink) মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেদেশের সরকার। ভোঁদড় জাতীয় এই প্রাণীদের মাধ্যমে মানবদেহেও ছড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণ। শুধু তাই নয়, এদের দেহে মেলা ভাইরাসটি এতদিনের চেনা কোভিড ভাইরাসের (COVID-19) মিউট্যান্ট। ফলে তা আরও বেশি বিপজ্জনক হতে পারে বলেই আশঙ্কা। সতর্কতা বাড়াতে ব্রিটিশ সরকার সে দেশ থেকে বিমান ও জাহাজ প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। নিষিদ্ধ মালবাহী যানবাহনও।
রবিবার থেকেই ব্রিটেনে চালু হয়ে গিয়েছে নয়া নিয়ম। এমনকী শনিবারের মধ্যে ডেনমার্ক থেকে ব্রিটেনে ফেরা নাগরিকদেরও দু’ সপ্তাহের জন্য কোয়ারান্টাইনে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ নাগরিক নন, এমন যাত্রীদের আগামী ১৪ দিন প্রবেশাধিকার মিলবে না। কয়েক দিন ধরেই ডেনমার্ককে ঘিরে আতঙ্ক বাড়ছে। ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডরিকসন জানিয়েছেন, মিঙ্কদের দেহে মেলা ভাইরাসের নতুন স্টেনটির সামনে অ্যান্টিবডিগুলিও সেভাবে কার্যকর হতে পারছে না। তাই দ্রুত মিঙ্কগুলিকে হত্যা করতে বদ্ধপরিকর তাঁরা। এমনও শোনা যাচ্ছে, পরিস্থিতি বুঝে ডেনমার্কের বিভিন্ন অঞ্চলে ফের জারি করা হতে পারে লকডাউন। ৫টি খামারের ১২ জন কর্মীর দেহে মিঙ্ক থেকে করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: করোনা কালে প্রথমবার, সফলভাবে নয়া উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করল ইসরো]
উৎকৃষ্ট মানের পশমের জন্য ইউরোপের নানা দেশেই প্রচুর পরিমাণে চাষ করা হয় মিঙ্কের। এর আগে গত জুনে নেদারল্যান্ডস ও পরে স্পেনেও মিঙ্কদের হত্যা করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে কোভিড পজিটিভ পাওয়ার পরেই দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল কালিংয়ের। গত মাসেই আমেরিকায় করোনা আক্রান্ত হয়ে গিয়েছিল প্রায় হাজার দশেক মিঙ্ক। দেখা গিয়েছে, সবক্ষেত্রেই মিঙ্কগুলির শরীরে করোনার লক্ষণ ছিল মানুষের শরীরের মতোই। শ্বাসকষ্টে ভুগছিল তারা। তবে তাদের শরীরে ভাইরাস অত্যন্ত দ্রুত ছড়াতে দেখা গিয়েছিল। সংক্রমিত হওয়ার একদিনের মধ্যেই মারা গিয়েছিল বহু প্রাণী। সেই সময় স্থানীয় প্রশাসন ওই পশু খামারগুলিকে কোয়ারান্টাইন করে রেখেছিল। এবার ডেনমার্কের মিঙ্কদের ঘিরে ছড়াচ্ছে নয়া আতঙ্ক।