সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাইওয়ানের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বাড়িয়েই চলেছে চিন! যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে শাসিত দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রতিরক্ষা বলয়ে ঢুকছে চিনা রণতরী। বারবার প্রবেশ করছে লালফৌজের যুদ্ধবিমানও। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তাইওয়ান কি ইউক্রেন হয়ে উঠবে? কিন্তু সে আশঙ্কা নাকচ করছে ওয়াকিবহাল মহল। মনে করা হচ্ছে, চিনের সামরিক শক্তি যতই বিপুল হোক না কেন শেষপর্যন্ত ভারত ও আমেরিকার মতো দেশগুলির দিকে তাকিয়ে বেজিং সম্ভবত তাইওয়ানে হামলা করতে পারবে না। আর এই ইঙ্গিত মিলছে খোদ চিনেরই এক কৌশলপত্র থেকে!
ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে চিনের (China) আগ্রাসন কি ভবিষ্যতে হামলার ইঙ্গিত? বিগত দিনে বারবার উঠেছে এমন প্রশ্ন। কিন্তু তা সত্ত্বেও যে বেজিং এখনও আক্রমণ করে উঠতে পারেনি তার পিছনে রয়েছে দ্বিধা। আর সেই দ্বিধার মূলে রয়েছে ভারত ও আমেরিকা! ঠিক কী ভয় পাচ্ছে চিন? আসলে এই মুহূর্তে ও আগামিদিনেও চিনের জলপথে বাণিজ্যের প্রধান পথ দক্ষিণ চিন সাগর। যা ভারত মহাসাগর ও লোহিত সাগর ও সরু রেখার মতো অবস্থিত মালাক্কা প্রণালী দিয়ে পারস্য উপসাগর, সুয়েজ খাল ও ভূমধ্যসাগরের সঙ্গে যুক্ত। ৮০ শতাংশ বাণিজ্য এই জলপথেই করে চিন। আর এখানেই বেজিংয়ের ভয়, যদি তারা তাইওয়ানে হামলা করে দেয় তাহলে আমেরিকা ভারত অন্যান্য ইন্দো-প্যাসিফিক সঙ্গীদের নিয়ে মালাক্কায় চিনের বাধা হয়ে দাঁড়াবে। ফলে ধাক্কা খাবে চিনা বাণিজ্য। শক্তি সম্পদ ও কাঁচামাল সরবরাহ বাধাপ্রাপ্ত হবে। চিনেরই এক কৌশলপত্র থেকেই এমনটা জানা যাচ্ছে।
[আরও পড়ুন: যে কোনও মামলাতেই হতে পারেন গ্রেপ্তার, রক্ষাকবচ চেয়ে আদালতে ইমরানের স্ত্রী]
এই ভয় থেকেই দ্বিধাগ্রস্ত বেজিং। তাই ফাইটার বোম্বার জেট, এইচ-৬ বোমারু বিমান, সুখোই-৩০, ইলেক্ট্রোনিক ওয়ারফেয়ার, সাবমেরিন ধ্বংসী ও ট্যাঙ্কার বিমান নিয়ে বারবার তাইওয়ানের (Taiwan) ‘এয়ার ডিফেন্স জোনে’ ঢুকে পড়েও এখনও হামলার সাহস দেখাতে পারেননি জিনপিং। আগামিদিনেও পারবেন, সেই সম্ভাবনা ক্ষীণই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ফলে তাইওয়ানে চিন ‘যত গর্জে তত বর্ষে না’ এই প্রবাদকে সত্য়ি করে কেবল আগ্রাসনই দেখাবে এমনটাই মনে করা হচ্ছে।