সৈকত মাইতি, তমলুক: লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগে ঘাটালের বিদায়ী তৃণমূল (TMC) সাংসদ দেব (Dev) ওরফে দীপক অধিকারীকে নিয়ে রীতিমতো জলঘোলা শুরু হয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। জল্পনা শুরু হয়েছিল, রাজনীতি ছাড়ছেন দেব। যদিও শেষ পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) হস্তক্ষেপে সিদ্ধান্ত বদল করেন টলিউডের সুপারস্টার। ফের ঘাটাল কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ার পর প্রচারে নেমে দেব জানালেন, রাজনীতি ছেড়েই দিতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে কেন তাঁর প্রত্যাবর্তন? সে ব্যাখ্যাও দিলেন নিজেই।
সম্প্রতি পাঁশকুড়ায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন দেব। সেখানেই রাজনীতি থেকে মুখ ঘুরিয়ে আবার ফিরে আসার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "ঘাটাল (Ghatal) মাস্টার প্ল্যানের দাবি দীর্ঘদিনের। রাজনীতিতে নেমে আমি মানুষকে কথা দিয়েছিলাম এই কাজ করে দেব। কিন্তু সে কথা আমি রাখতে পারিনি। তাই রাজনীতিকে বিদায় জানিয়ে নিজের অভিনয় জগতে ফিরতে চেয়েছিলাম।"
[আরও পড়ুন: জয়ের মাঝে কাঁটা! চেন্নাইকে হারিয়েও কড়া শাস্তির মুখে ঋষভ]
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ টেনে দেব বলেন, "আমার সিদ্ধান্তের কথা শুনে দিদি আমাকে বলেন, রাজনীতিতে তোমার মতো ছেলের প্রয়োজন। আমি দিদিকে জানাই যদি ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রাজ্য সরকার করে দেয় তবেই আমি রাজনীতিতে ফিরব। দিদি কথা রেখেছে। আরামবাগের সভা থেকে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের অনুমোদন দিয়েছেন দিদি।" পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, "ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাগজ জমা পড়েছে দ্রুত কাজ শুরু করার আবেদনও করেছি।"
[আরও পড়ুন: ‘আবাসের ঘর পেলে এত ক্ষতি হত না’, দুর্যোগে আহতদের দেখতে হাসপাতালে গিয়ে ‘তোপ’ অভিষেকের]
নির্বাচনী আবহে রাজনীতি থেকে বিদায়ের জল্পনা খাড়া করে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন ঘাটালের ২ বারের তৃণমূল সাংসদ দেব। সংসদে নিজের শেষদিনের ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি লেখেন, 'বিদায়, থ্যাঙ্কু দিদি।' পাশাপাশি ৩ টি সরকারি পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই দেবের ইস্তফার জল্পনা চরম আকার নেয় রাজ্য রাজনীতিতে। শুরু হয় তাঁর বিজেপি যোগের জল্পনাও। যদিও সে সম্ভাবনার কথা স্পষ্ট ভাষায় খারিজ করেন দেব। এরপর কলকাতায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এরপর আরামবাগে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় দেবের উপস্থিতি সব জল্পনার অবসান ঘটায়।