আকাশ মিশ্র: অ্যাকশন প্যাকড দক্ষিণী ছবি মুক্তি পেলে, দর্শকদের মধ্যে একটা আলাদা আগ্রহ তৈরি হয়। এই আগ্রহ পূর্বে শুধুমাত্র দক্ষিণ ভারতে দেখা গেলেও, 'বাহুবলী', 'পুষ্পা', 'কেজিএফ'-এর পর এই উন্মাদনা যে গোটা ভারত জুড়েই। আর তাই এই দর্শকদের কথা মাথায় রেখেই একের পর এক ছবি মুক্তি পাচ্ছে এবং বক্স অফিসে ঝড় তুলছে। ঠিক এই তালিকাতেই নতুন সংযোজন জুনিয়ার এনটিআরের 'দেভারা'। যা কিনা গোড়া থেকেই অ্যাকশনে ভরপুর। আর এই ছবিতে শুধু এনটিআর নয়, সইফ আলি খানও পর্দা কাঁপিয়েছেন।
'দেভারা পার্ট ওয়ান' ছবির প্রেক্ষাপট দুটো সময়। একটা ১৯৯৬ সাল। অন্যটা ১৯৭০। বলা ভালো ছবির মূল গল্প এগিয়ে চলে এই ১৯৭০ সালকে সঙ্গে নিয়েই। মূলত, দুই জলদস্যুর লড়াই-ই এই ছবির গল্প। যে লড়াইয়ে দেভারা ওরফে জুনিয়ার এনটিআর এবং ভইরা ওরফে সইফ আলি খান। তবে দুজনেই জলদস্যু হলেও, গল্পের প্রেক্ষাপট কিন্তু খারাপ ও ভালোর লড়াই।
'দেভারা পার্ট ১', আসলে পুরনো গল্পেরই নতুন মোড়ক। এরকম গল্প আগেও দেখা গিয়েছে পর্দায়। সেদিক থেকে দেখলে, এই ছবি নতুন কিছু দিতে পারে না। তবে এই ছবির সবচেয়ে শক্তপোক্ত জায়গাই হল সিনেম্যাটোগ্রাফি। গোটা ছবি জুড়ে চরিত্রদের মুড বোঝাতে নীল ও লাল রঙের ব্যবহার, সত্যিই মুগ্ধ করে। এমনকী, আবহসঙ্গীতও ছবির মুডকে বজায় রেখেছে।
এই ছবি একেবারেই অভিনয় নির্ভর। জুনিয়ার এনটিআর ও সইফের অসাধারণ যুগলবন্দি এই ছবি উপভোগ্য বানায়। তবে জাহ্নবী কাপুরে এই ছবিতে প্রায় নেই। তাঁর উপস্থিতি আলাদা করে কোনও ম্যাজিক তৈরি করে না। আশা করা যায়, এই ছবির দ্বিতীয় পর্যায়ে হয়তো জাহ্নবী কিছুটা হলেও অভিনয়ের সুযোগ পাবেন। শেষমেশ বলা যায়, 'দেভারা' অন্য়ান্য অ্যাকশনে ভরপুর দক্ষিণী ছবির মতোই। নতুন কোনও স্বাদ দিতে পারে না 'দেভারা'র গল্প।