সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘নির্বাচন কমিশন আসলে মহাভারতের ধৃতরাষ্ট্র, যে কিনা নিজের পুত্রকে যেকোন উপায়ে যুদ্ধ জেতাবে।’ এভাবেই ফের একবার নির্বাচন কমিশনকে বিঁধলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আপ পার্টি প্রধানের অভিযোগ, সব জেনেও চুপ করে রয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইভিএম মেশিনে কারচুপি হচ্ছে জেনেও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে তাঁরা।
[‘মোদির নেতৃত্বেই নজিরবিহীন উন্নয়নের পথে চলেছে ভারত’]
সোমবার এক সাক্ষাৎকারে নির্বাচন কমিশনের উপর পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ”নির্বাচন কমিশন এখন মহাভারতের ধৃতরাষ্ট্র হয়ে গিয়েছে। যে কিনা ছেলে দুর্যোধনকে জেতাতে চেষ্টার কোনও কসুর করছে না।” এর আগে একাধিকবার ভোটদান যন্ত্রের কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন তিনি। পাশাপাশি দাবি করেছেন, আগামী ২৬ এপ্রিল দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ভোটে যেন ব্যালট পেপার ব্যবহার করা হয়।
[শনাক্ত করতে জুড়তে হয়েছিল লাদেনের ছিন্নভিন্ন মাথা]
এর আগে রবিবার ন’টি রাজ্যে উপনির্বাচনে ১৮টি ইভিএম মেশিনে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। যদিও উত্তরপ্রদেশ-সহ দেশের পাঁচ রাজ্যে হয়ে যাওয়া ভোটে ভোটদান যন্ত্রে কারচুপির যে অভিযোগ বিরোধীরা করে আসছে, সেটা বারবার নস্যাৎ করে এসেছে নির্বাচন কমিশন। ঘটনার সূত্রপাত একটি ভিডিওকে ঘিরে। যেখানে দেখা যায় মধ্যপ্রদেশের ভিন্দে একটি ইভিএমের পরীক্ষা করা হচ্ছিল। তাতে ‘ভোটার ভেরিফায়েড পেপার অডিট ট্রায়াল'(ভিভিপিএটি)-র সময় অন্য রাজনৈতিক দলগুলিকে ভোট দিলেও বিজেপির স্লিপই বেরোতে দেখা যায়। এরপরেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। খবর প্রকাশ্যে আসতেই ইভিএমে কারসাজির অভিযোগ জানাতে শুরু করে বিরোধী দলগুলি। এমনকী একজোট হয়ে ইভিএমগুলিকে নির্বাচন কমিশন এবং রাষ্ট্রপতির কাছে নিয়ে যাওয়ার আবেদনও করতে থাকেন। তবে নির্বাচন কমিশন পরীক্ষা করে জানায়, ইভিএমে কোনও কারসাজি করা হয়নি। এই প্রসঙ্গে কেজরিওয়াল বলেন, ”আমি একজন আইআইটি-র ছাত্র। এটা কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি নয়, পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে ইভিএমগুলিতে কারসাজি করা হয়েছে। কোনও একটি বাটন টিপলেই বিজেপির কাছে ভোট চলে যাচ্ছে।”