স্টাফ রিপোর্টার: কোভিডের (COVID-19) পর চল্লিশের বেশি বয়সীদের অধিকাংশেরই ডায়াবেটিসের সমস্যা বাড়ে। তাই মিউকোর মাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস থেকে রক্ষা পেতে সবার আগে সুগার পরীক্ষা করুন। অন্তত এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। একই বক্তব্য রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরেরও।
করোনা মুক্তি মানেই বিপদ থেকে মুক্তি, অতিমারী আবহে এমনটা আর বলা যায় না। কোভিডের হাত ধরে শরীরে বাসা বাঁধছে মারণ ছত্রাক মিউকোর মাইকোসিস। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা অজয় চক্রবর্তীর কথায়, “রাজ্যে এখনও পর্যন্ত বারোজন রোগীকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। একজন ইতিমধ্যেই অস্ত্রোপচারের পর এই রোগ থেকে মুক্ত। একজনের মৃত্যুর খবর আছে। তার ডেথ অডিট হবে। বাকিদের চিকিৎসা চলছে।”
[আরও পড়ুন: হোয়াইট ফাঙ্গাসের সংক্রমণ খুবই সাধারণ, সহজেই সারে, আতঙ্কের মধ্যেই আশ্বাস চিকিৎসকদের]
বিভিন্ন মেডিক্যাল জার্নাল এবং বিশেষজ্ঞদের অভিমত অনুযায়ী ৩১-৪৫ বছরের মধ্যে ছত্রাক ঘটিত এই রোগের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে রোগীকেও সতর্ক থাকতে হবে। কেমন সতর্কতা? ডায়াবেটিস বা সুগার যেমন মাপতে হবে, তেমনই একই মাস্ক দীর্ঘসময় ব্যবহার করা যাবে না। নাক, মুখের ভিতর দিয়ে ছত্রাকের অনুপ্রবেশ হওয়ার পর সেই ছত্রাক কিন্তু ক্রমশ উপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। অর্থাৎ চোখ লাল বা রক্ত জমাট বাঁধে। আবার কিছু ছত্রাক ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে রোগীর একইসঙ্গে বুকে ও চোখে অসহ্য যন্ত্রনা হয়। অনেক সময় রক্তবমি হয়। আবার দ্রুত মাথায় ছড়িয়ে পড়ে। ফলে দৃষ্টি বিভ্রম হয়। অজয়বাবুর কথায়, “আমার শরীরকে আমি সুস্থ রাখব। এমনটা ভাবলেই ছত্রাক হার মানবে। একটু সতর্ক হলেই রোগ প্রতিরোধ করা যায়।”
করোনামুক্ত হওয়ার ২-৬ সপ্তাহ অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষকরে যাঁদের দীর্ঘসময় অক্সিজেন দিতে হয়েছে, অথবা ভেন্টিলেশনে থাকা রোগী। বাড়িতে এমন পরিবেশে রোগী থাকবেন যেখানে আদ্রর্তা কম। রোদ-হাওয়া ঢোকে। অথবা ধুলোবালি নেই। রোগীকে ফুল হাতা জামা ও প্যান্ট পড়তে হবে। ছ’ঘন্টা অন্তর মাস্ক বদলাতে হবে। এবং জ্বর বা শ্বাসকষ্ট হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এসএসকেএম, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ-সহ সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগের চিকিৎসা হয়। যথেষ্ট পরিমানে ওষুধ রয়েছে। আছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। ছত্রাকের সংক্রমণ যদি মস্তিস্কের ক্ষতি করে রোগীর প্রান সংশয় হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।