সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা অনুব্রত (Anubrata Mandal) কন্যা সুকন্যা। কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়েরও হয়েছে ইতিমধ্যেই। তবে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির মেয়ে যে স্কুলশিক্ষিকা, তা জানতেনই না শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেকথাই বলেন তিনি।
আন্দোলনরত টেট চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বুধবার বৈঠক করেন ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। ব্রাত্য বসুকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, অনুব্রতকন্যা সুকন্যা স্কুলে চাকরি করতেন আপনি জানেন? তিনি বলেন, “উনি কবে চাকরি পেয়েছেন? উনি যে স্কুলে পড়ান তা জানতাম না। আমি খোঁজ নিয়ে দেখব।”
[আরও পড়ুন: টেট পাশ না করেও শিক্ষকতা, অনুব্রতকন্যার বিরুদ্ধে হাই কোর্টে মামলা আইনজীবীর]
বোলপুরের কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করেন সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mandal)। আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের দাবি, কোনওদিন তিনি বিদ্যালয়ে যাননি। হাজিরা খাতা অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে পাঠানো হত। বাড়িতে বসে ওই খাতায় সই করতেন সুকন্যা। স্কুলে না গিয়েও প্রতি মাসে বেতনও পেতেন তিনি। অনুব্রতর মেয়ে-সহ আরও পাঁচজনের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়। আইনজীবীর দাবি, অনুব্রতর ভাই সুমিত মণ্ডল, আপ্তসহায়ক অর্ক দত্ত, ভাইপো সাত্যকী মণ্ডল, তৃণমূল নেতা ঘনিষ্ঠ কস্তুরী চৌধুরী, সুজিত বাগদিও বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটের মধ্যে টেট সার্টিফিকেট এবং নিয়োগপত্র-সহ ওই ছ’জনকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তলবে সাড়া না দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কড়া ব্যবস্থা। বুধবারই বীরভূমের পুলিশ সুপারকে এই রায় নিয়ে আদালতের তরফে অবগত করা হয়। এদিকে, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের পরই বোলপুর থানার দ্বারস্থ অনুব্রতর ভাই সুমিত। মিথ্যে মামলায় তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে বলেই অভিযোগ তাঁর। পাশাপাশি বুধবার সন্ধেয় বীরভূমের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে বেরতে দেখা যায় অনুব্রতকন্যাকে। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টে তিনি যাবেন কিনা, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।