সৌরভ মাজি, বর্ধমান: ফের বঙ্গকন্যার মুকুটে আন্তর্জাতিক পালক (International Award)। স্রেফ নিজস্ব উদ্ভাবনী শক্তির জোরে ১৭ টি দেশকে পিছনে ফেলে পুরস্কার ছিনিয়ে নিল বর্ধমানের (Burdwan) মেমারির ছাত্রী দিগন্তিকা বসু। মালয়েশিয়ায় আয়োজিত প্রতিযোগিতার মঞ্চে পদার্থবিদ্যা ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে নিজস্বতার ছাপ রাখা দিগন্তিকার এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত তাঁর পরিবার, বন্ধু, কলেজ কর্তৃপক্ষ।
মালয়েশিয়ার (Malyasia) রাজধানী কুয়ালা লামপুরে গত সপ্তাহে আয়োজন করা হয়ছিল ইন্টারন্যাশনাল ইনভেনশন অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন ২০২১। ২১ ও ২২ নভেম্বর MIICA’য় একাধিক বিভাগে ছাত্রছাত্রীদের উদ্ভাবনী শক্তির নমুনা দেখেন বিশ্ববাসী। ভারচুয়াল সেই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন মেমারির বাসিন্দা, কে আর কলেজ অফ নার্সিং, বেঙ্গালুরুর (Bangalore) BSC নার্সিংয়ের ছাত্রী দিগন্তিকা। প্রতিযোগিতায় পরিবেশ বিজ্ঞান, জীবন বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, গণিত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও পদার্থবিজ্ঞান (Engineering and Physics) – এই শাখাগুলিতে সেকেন্ডারি, সিনিয়র সেকেন্ডারি, বিশ্ববিদ্যালয় এই তিনটি বিভাগ অনুষ্ঠিত হয়। অংশ নিয়েছিল বিশ্বের মোট ১৭ দেশ।
[আরও পড়ুন: বৃহস্পতির অতিকায় ঝড় গিলে নিতে পারে হাজার পৃথিবীকে, প্রমাণ দিল নাসার যান]
পদার্থবিদ্যা ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে যে তিনজন পুরস্কৃত হয়েছেন তার মধ্যে তৃতীয় স্থানে দিগন্তিকা। তার ঝুলিতে এসেছে ব্রোঞ্জ পদক। এখানে নিজের কলেজ অর্থাৎ কে আর কলেজ অফ নার্সিংয়ের তরফে প্রতিনিধিত্ব করেছিল মেমারির (Memari) ছাত্রী। তার গবেষণার বিষয় ছিল ড্রিল মেশিন থেকে ধুলোকণা সংগ্রহ। তাতেই অন্যদের মাত করে ব্রোঞ্জ (Bronze) ছিনিয়ে এনেছে দিগন্তিকা। ২৮ নভেম্বর সমাপ্তি অনুষ্ঠানে পদকজয়ীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়। দিগন্তিকার এই আন্তর্জাতিক পদক জয়ে তাঁর বর্তমান কলেজের সহপাঠী, শিক্ষক-শিক্ষিকারা তো বটেই, খুশির হাওয়া পরিচিত মহলে।
[আরও পড়ুন: দীর্ঘক্ষণ মাস্ক পরেও হবে না কানে ব্যথা, যন্ত্রাংশ তৈরি করে জাতীয় পুরস্কার জয় বাংলার কন্যাশ্রীর]
শুধু এটাই নয়, উদ্ভাবনী শক্তির দৌড়ে আগেও বেশ কয়েকবার পুরস্কৃত হয়েছে দিগন্তিকা বসু। করোনা কালে আরামদায়ক অথচ অভিনব মাস্ক তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল সে। স্বীকৃতি স্বরূপ জাতীয় পুরস্কার এসেছিল তার হাতে। পরে আবার দীর্ঘক্ষণ মাস্ক ব্যবহারে অস্বস্তি থেকে বাঁচতে বিশেষ টুল বা যন্ত্রাংশ তৈরি করে ফেলেছিল বর্ধমানের এই ছাত্রী। তাতেও জাতীয় পুরস্কার হাতে তুলে নিয়েছিল। ডাঃ এপিজে আবদুল কালাম ইউনাইটেড মাইন্ড চিলড্রেন ক্রিয়েটিভিটি অ্যান্ড ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড এসেছিল দিগন্তিকার হাতে। শুধু তাই নয়, পরপর বেশ কয়েকটি বিষয়ে নিজের উদ্ভাবনীতে চমক লাগিয়েছিল সে। আর এবার আন্তর্জাতিক পুরস্কার জিতলেন এই বঙ্গকন্যা।