বিধান নস্কর, সল্টলেক: রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানির অভিযোগ প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ। গোটা ঘটনাই পূর্বপরিকল্পিত বলেই দাবি তাঁর।শনিবার সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণের পর তৃণমূলকে একহাত নেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী।
বৃহস্পতিবার রাজভবনের পিসরুমে কাজ করা এক তরুণী রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের (C V Ananda Bose) বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন। মহিলার দাবি, রাজ্যপাল বোস তাঁর দুবার শ্লীলতাহানি করেন। হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগও দায়ের করেন তিনি। যদিও অভিযোগ খারিজ করে দেন সি ভি আনন্দ বোস। এই প্রসঙ্গে ইতিমধ্যে বোসকে নিশানা করেছেন মমতা। তবে রাজ্যপালের পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূলকে (TMC) বিঁধলেন দিলীপ। বলেন, "পুরো স্ক্রিপ্ট তৈরি ছিল।ওরা একাই চেঁচাচ্ছে। সবাই জানে এর পিছনে কে আছে। তৃণমূল মহিলাদের সম্মান করে না। তাঁদের ব্যবহার করে। এখানেও একজন মহিলাকে ব্যবহার করা হয়েছে। সম্মানীয় মানুষকে কীভাবে অপমান করতে হয়, তৃণমূল তা দেখিয়ে দিয়েছে। তৃণমূলের এই নিকৃষ্ট রাজনীতি একদিন তাঁদের পতনের কারণ হবে।"
[আরও পডুন: ছিলেন ডাক্তার, হয়ে গেলেন দুধ বিক্রেতা! সিদুঁরদানের আগেই মুখোশ খুলল ‘গুণধরে’র, তার পর…]
তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে SET গঠন করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পুলিশের সমালোচনা করে এদিন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, "পুলিশ তো তদন্ত কমিটি করবেই। আমার বিরুদ্ধে আপনি একটা অভিযোগ করুন তদন্ত দল তৈরি হয়ে যাবে। বাকি হাজার, কোটি খুন,ধর্ষণ সেখানে কতজন গ্রেপ্তার হয়েছে? মানুষ তৃণমূল নেতাকে জুতোপেটা করে পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে। পুলিশ কী করেছে?" আনন্দপুর ও ডায়মন্ড হারবার থানার ওসি বদল প্রসঙ্গে দিলীপের প্রতিক্রিয়া, "বর্ধমান জেলায় এরকম দুজন আছেন। তাঁদেরকে বেশ কিছু বছর চাকরি করতে হবে। দিদির আঁচলের তলায় বেশি দিন বসে থাকতে পারবেন না।"