রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: প্রায় প্রত্যেক দিনই শাসকের হামলার শিকার হচ্ছেন দলীয় কর্মীরা৷ প্রাণ যাচ্ছে তাঁদের৷ এহেন নিহত দলীয় কর্মীদের কথা স্মরণ করতে গিয়ে চোখে জল চলে এল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। দলের সাংসদ-বিধায়কদের সামনে বক্তৃতা দিতে দিতে কেঁদে ফেললেন তিনি৷ কেঁপে উঠল গলার স্বর৷
[ আরও পড়ুন: হজে যাবেন প্রধান শিক্ষক, তপসিয়ার স্কুলে ছুটি দিয়ে দেদার ভুরিভোজ]
রবিবার সকালে কলকাতার আইসিসিআর অডিটোরিয়ামে দলের সাংসদ ও বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেন গেরুয়া শিবিরের জাতীয় ও রাজ্য নেতারা৷ বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসাবে বৈঠকের সূচনা ভাষণ দেন দিলীপ ঘোষ৷ সূত্রের খবর, সেই ভাষণেই শাসকদলের বিরুদ্ধে নির্বাচনের সময় সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগে সরব হন মেদিনীপুরের সাংসদ৷ জানান, পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের নেতা, কর্মী ও সমর্থকদের উপর অকথ্য অত্যাচার চালিয়েছে তৃণমূল৷ রাজনৈতিক সংঘর্ষে বাংলায় নিহত হয়েছেন প্রচুর বিজেপি কর্মী৷ জানা গিয়েছে, সেই নিহত কর্মীদের কথা স্মরণ করেই কেঁপে ওঠে দিলীপ ঘোষের গলা। চোখে জল চলে আসে তাঁর৷ তিনি বলেন, ‘‘এটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। রাজ্য সভাপতি হিসাবে আমি যখন নিহত কর্মীদের মরদেহে মালা দিতে যাই, তখন নিজেকে খুব অপরাধী মনে হয়।” এখানেই শেষ নয়, দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষ আমাদের কর্মীদের লড়াই ও আত্মত্যাগের পাশে দাঁড়িয়েছে৷ সেজন্যই আমাদের বিপুল সাফল্য এসেছে। ২০১৯-র সাফল্য আমরা কর্মীদের উৎসর্গ করছি৷’’
[ আরও পড়ুন: মাঝেরহাটে নির্মীয়মাণ সেতুর নকশা খতিয়ে দেখতে কলকাতায় তাইওয়ানের বিশেষজ্ঞরা ]
জানা গিয়েছে, এদিন দলীয় সাংসদ ও বিধায়কদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছে বিজেপি নেতৃত্ব৷ সূত্রের খবর, উক্ত বৈঠকে লোকসভা নির্বাচনে জয়ী সাংসদ ও পরাজিত প্রার্থীদের বিশেষ কিছু দায়িত্ব দিয়েছে দল৷ ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে যেমন আগামিদিনে আন্দোলনের ঝাঁজ বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ একই ভাবে জনসংযোগও বাড়াতে বলা হয়েছে জনপ্রতিনিধিদের৷ লোকসভার পাশাপাশি, বিধানসভাতেও নানা ইস্যুতে শাসকদলকে বেকায়দায় ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ আগামী নির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গে যে সেয়ানে সেয়ানে টক্কর দেবে বিজেপি, এদিনে বৈঠকেই তা স্পষ্ট করেছেন দিলীপ ঘোষ৷ আত্মবিশ্বাসের সুরে তিনি বলেন, বাংলায় পরিবর্তন আসতে চলেছে৷ সংসদে এখন বাংলার প্রতিনিধিরা গিয়েছেন। তাই বাংলা সম্পর্কে ভুল তথ্য দিয়ে, মানুষকে আর বিভ্রান্ত করা যাবে না। সবাই বুঝতে পারছেন যে, বিজেপির হাত না ধরলে বাংলা বাঁচবে না। এদিনের বৈঠকে সমস্ত সাংসদ, বিধায়ক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথা জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা, জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য মুকুল রায়, সমস্ত সাধারণ সম্পাদকরা৷ ছিলেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শিব প্রকাশ ও কৈলাস বিজয়বর্গীয়৷ সভার মধ্যেই এদিন বিজেপিতে যোগ দেন বাম সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী বঙ্কিম ঘোষ৷
The post ‘শাসকের অত্যাচারের শিকার হচ্ছে কর্মীরা’, আবেগে কেঁদে ফেললেন দিলীপ ঘোষ appeared first on Sangbad Pratidin.