সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উপনির্বাচনে হারের ধাক্কা সামলাতে পারল না কর্ণাটক কংগ্রেস। ব্যর্থতার জেরে পদ ছাড়লেন দুই শীর্ষনেতা। হারের কারণ পর্যালোচনা না করেই কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি দীনেশ গুণ্ডুরাও এবং কর্ণাটক বিধানসভায় কংগ্রেস দলনেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া পদত্যাগ করলেন। সিদ্ধারামাইয়া ইতিমধ্যেই সোনিয়ার কাছে নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। দীনেশ গুণ্ডুরাও ইস্তফার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দিয়েছেন।
মূলত, সিদ্ধারামাইয়ার নেতৃত্বেই উপনির্বাচনে লড়েছিল কংগ্রেস। এটা ছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রেস্টিজ ফাইট। কিন্তু, সেই সম্মানের লড়াইয়ে হার মানতে হয়েছে সিদ্ধাকে। তারপরই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। দীনেশ গুণ্ডুরাও অবশ্য আগের দিনই ঠিক করে ফেলেছিলেন, পরাজিত হলে পদত্যাগ করবেন। দুই শীর্ষনেতার পদত্যাগের ফলে কর্ণাটকে কার্যত দিশাহীন হয়ে গেল কংগ্রেস। উল্লেখ্য, ১৫ আসনের উপনির্বাচনে ১২টি আসন জিতেছে বিজেপি। মাত্র ২টি আসন গিয়েছে কংগ্রেসের দখলে। একটি আসনে জিতেছেন নির্দল প্রার্থী। বিজেপির এই বিরাট জয়ের ফলে কর্ণাটকে আগামী সাড়ে ৩ বছর তাঁদের সরকার থাকা নিশ্চিত হয়ে গেল।
কর্ণাটকের এই জয়ে উচ্ছ্বসিত বিজেপি শিবির। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইট করে সিদ্ধারামাইয়াকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। মোদি বলেন, “কর্ণাটকের ফলাফলে বোঝা গেল, যেখানে যারা জনমতের বিরুদ্ধে গিয়েছে, মানুষ তাঁদের শাস্তি দিয়েছে।” শুধু মোদি নন, মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফড়ণবিসও কংগ্রেসকে তোপ দেগেছেন। তিনি বলছেন, “সুযোগসন্ধানী রাজনীতি করার ফল পেল কংগ্রেস। প্রথম সুযোগেই শাস্তি দিল মানুষ।” কর্ণাটকের ফলাফলে উচ্ছ্বসিত ঝাড়খণ্ড বিজেপিও। মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসের ঘনিষ্ঠরা মনে করছেন, কর্ণাটকের এই ফলাফলের প্রভাব ঝাড়খণ্ডের পরবর্তী রাউন্ডগুলিতে পড়বে।
The post ইস্তফা দুই শীর্ষ নেতার, উপনির্বাচনে ব্যর্থতার জেরে বিধ্বস্ত কর্ণাটক কংগ্রেস appeared first on Sangbad Pratidin.