সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্মক্ষেত্রে হয়রানির অভিযোগে কেশসজ্জা শিল্পীর আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় টলিপাড়া। ইতিমধ্যেই এবিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ডিরেক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া (DAEI) তথা ডিরেক্টর্স গিল্ড। এবার কাজের জটিলতা তথা চাপিয়ে দেওয়া নিয়মের অভিযোগ জানিয়ে কড়া বার্তা দেওয়া হল সংগঠনের পক্ষ থেকে।
সোমবার ডিরেক্টর্স গিল্ডের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করা হয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন ডিরেক্টর্স গিল্ডের সভাপতি সুব্রত সেন। তিনি জানান, টলিউডে কাজের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। বাইরে থেকে আর বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে বিনিয়োগ করা হচ্ছে না। মুম্বইয়ের প্রযোজকরা এসে এখানে হিন্দি বা বাংলা ছবির কাজ করতে পারছেন না। বাংলা ছবিতেও তাঁরা কাজ করছেন না। এক সময় প্রত্যেক বছরে বাংলায় অন্তত ১২ থেকে ১৫টি ছবির শুটিং হোতো। কিন্তু এত লোক নিতেই হবে, এমন নিয়মের বেড়াজালে বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
সুব্রত সেন বলেন, "বিনিয়োগ বন্ধ হতে হতে এমন একটা জায়গায় আমরা এসে পৌঁছেছি যে আমাদেরও এই পরিচালনার মতো কাজ ছেড়ে দিয়ে সামনে কোথাও রোলের দোকান খুলতে হবে বা অন্য কোনও ব্যবসায় চলে যেতে হবে। এই কথাটা কিন্তু আমি পরিষ্কার জোর দিয়ে বলছি যে এরকম ঘটনার সম্মুখীন প্রচুর প্রচুর টেকনিশিয়ান হচ্ছেন এবং প্রচুর প্রচুর টেকনিশিয়ান আক্ষরিক অর্থে কাজের অবস্থার চোটে আলু-পটলের দোকান খুলে বসে আছেন। কীসের জন্য এই ঘটনাটা ঘটছে তা ভাবার সময় এসেছে।"
সুদেষ্ণা রায়, ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী-সহ ডিরেক্টর্স গিল্ডের একাধিক সদস্যকে পাশে নিয়ে সুব্রত সেন জানান, বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে বিনিয়োগ আনতে গেলে চাপিয়ে দেওয়া নিয়মকানুনের বদলে যথাযথভাবে, আইন মেনে কাজ করতে দিতে হবে। যার যত লোক প্রয়োজন সেই সংখ্যক লোক নিয়ে কাজের সুযোগ দিলে কাজের পরিমাণই বাড়বে।