অর্ণব দাস, বারাসত: ডুব দিলেই মেলে চাকরি। সুস্থ হয় শরীর। মেলে সন্তান। এই বিশ্বাসেই কামনা পুকুরে ডুব দেন কয়েক হাজার মানুষ। আর প্রতি বছর তৈরি হয়ে নতুন নতুন গল্প। জানেন কোথায় রয়েছে এই পুকুর?
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবরার বানিপুরের ইতনা কলোনির কামনা পুকুর। প্রতি বছর বিশেষ একটি সময় এই পুকুরে ভিড় জমান বহু মানুষ। তাঁদের কথায়, পুকুরে ডুব দিলেই মনের ইচ্ছেপূরণ হয়। অনেকে তো আবার মনে করেন, এই পুকুরের জলে স্নান করলে সন্তান লাভও হয়। এক ধরে চলে আসছে এই বিশ্বাস। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবরার এই পুকুরের জলে বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। তাই পুকুর পাড়ে তৈরি হয়েছে হরিচাঁদ গুরুচাঁদের মন্দির। শুধু তাই নয়, সুদূর ঠাকুরবাড়ি থেকে ১০১ ঘটি জল এনে শোধন করা হয় এই পুকুর। আর তারপর থেকেই এই পুকুরের মাহাত্ম্য ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র।
[আরও পড়ুন: হনুমান জয়ন্তীতে আধা সামরিক বাহিনী! রাজ্যকে কেন্দ্রের সাহায্য নেওয়ার নির্দেশ হাই কোর্টের]
স্নান করতে আসা ভক্তদের কথায়, চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধে কাজ না হলে, এই জলে ডুব দিলেই দূর হয় শারীরিক সমস্যা। দীর্ঘদিন সন্তান না হওয়ায় একাধিক সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছিল এক গৃহবধূকে। মনের ইচ্ছে জানিয়ে এই পুকুরে ডুব দিতেই কয়েক মাসের মধ্যে কোলে আসে সন্তান। তাই প্রতি বছর বিশেষ দিনে মানুষজন ভক্তিভরে কামনা পুকুরে ডুব দেন। সুদূর সুন্দরবনের ঝড়খালি থেকে আসা এক নব দম্পতিকেও দেখা যায় এই পুকুরে ডুব দিতে। তাঁরাও জানিয়েছেন, নিজেদের মনোবাসনা পূর্ণ করতেই এই কামনা সাগরে স্নান।
[আরও পড়ুন: পুলিশ না পারলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নিন, অশান্তি মামলায় রাজ্যকে পরামর্শ হাই কোর্টের]
পুকুর সংলগ্ন মন্দিরেও ভক্তরা মিলিত হন। চলে খিচুড়ি ভোগ বিতরণ। সঙ্গে কাঁসর, ডঙ্কা, নিশান নিয়ে চলে হরিনাম সংকীর্তন। সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন মতুয়া ভক্ত দলপতি গোসাই পাগল রাও। সবমিলিয়ে স্নান ঘিরে যেন উৎসবে মেতে ওঠে গোটা এলাকা।