সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনা ঋণে গলা অবধি ডুবে গিয়েছে জিবৌতি। বেজিংয়ের কাছে কার্যত বিকিয়ে গিয়েছে আফ্রিকার ছোট্ট দেশটি। আপাতত বকেয়া মেটানোর ক্ষমতা নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে তারা। আর আন্তর্জাতিক মঞ্চে এহেন ঘটনাবলি উদ্বিগ্ন করে তুলেছে ভারতকে।
প্রশ্ন হচ্ছে, হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে সমূদ্রপারের দেশটির দুর্গতিতে ভারত কেন উদ্বিগ্ন? এর উত্তর লুকিয়ে রয়েছে জিবৌতির ভৌগলিক অবস্থানে। সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, কৌশলগত অবস্থানের জন্য ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ’ জিবৌতি। এডেন উপসাগর থেকে লোহিত সাগর হয়ে সুয়েজ খালমুখী জলপথের বাব-এল-মান্দেব প্রণালীতে অবস্থিত দেশটিতে রয়েছে চিনের নৌঘাঁটি। এখান থেকে আরব সাগরে ভারতীয় নৌসেনাকে টক্কর দিতে পারবে তারা। ফলে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে গুজরাট উপকূল থেকে শুরু করে ভারতের গোটা পশ্চিমের সমুদ্রবর্তী এলাকা চিনা রণতরীগুলির আওতায় চলে আসবে।
[আরও পড়ুন: ‘সমতার পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’, সমকামী বিবাহ বিলে সই বাইডেনের]
উল্লেখ্য, মার্কিন আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে আগ্রাসী চিন (China)। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নতুন মহাশক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে কমিউনিস্ট দেশটি। সম্প্রতি নয়াদিল্লির উদ্বেগ বাড়িয়ে প্রকাশ্যে আসে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের একটি রিপোর্ট। সেখানে বলা হয়, জিবৌতিতে তৈরি নৌঘাঁটিতে দ্রুত যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী ও সাবমেরিন মোতায়েন করতে চলেছে চিন। ভারত মহাসাগরে লালফৌজের ‘অতি-তৎপরতা’ নয়াদিল্লির মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠবে বলে মনে করছে মার্কিন সেনাবাহিনী।
বিশ্লেষক মহলের মতে, জিবৌতিকে ঋণের টোপ দিয়ে ইচ্ছাকৃত ভাবেই ফাঁদে ফেলেছে চিন। এভাবে দেশটিকে কার্যত ক্যান্টনমেন্টে পরিণত করতে চাইছে লালফৌজ বা পিপলস লিবারেশন আর্মি। আগেই পাকিস্তানের গদর বন্দরে চিনা সামরিক গতিবিধির খবর উদ্বেগ বাড়িয়েছে দিল্লির। এবার জিবৌতিতে চিনা নৌঘাঁটি সেই উদ্বেগের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিল।তার উপর সম্প্রতি, অরুণাচল প্রদেশের (Arunachal Pradesh) তাওয়াং সেক্টরে দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে সংঘাত পরিস্থিতি আরও ঘোরাল করে তুলেছে।