শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: সাপে কাটা রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ইটাহার ব্লক হাসপাতালে। বেধড়ক মারধর করা হয় ডাক্তারকে। প্রতিবাদে কালো ব্যাজ পড়ে কর্মবিরতিতে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। ফলে হাসপাতালে এসে পরিষেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। সব মিলিয়ে উত্তপ্ত হাসপাতাল চত্বর। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার রাতে। এদিন দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর ব্লকের সইদপুরের বাসিন্দা মন্টু পালকে সাপে কামড়ায়। তড়িঘড়ি তাঁকে ইটাহার ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে রেফার করা হয় রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসা শুরু হলেও শেষ রক্ষা হল না। বৃহস্পতিবার ভোরে মৃত্যু হয় মন্টুর। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের পরিবারের সদস্যরা।
[আরও পড়ুন: এগরা বিস্ফোরণ: ৪৮ ঘণ্টা পর মিলল সাফল্য, ওড়িশা থেকে পুলিশের জালে ভানু বাগ]
অভিযোগ, মন্টুর মৃত্যুর পরই মৃতের পরিবার ও পরিজনরা চড়াও হন ইটাহার হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎকর সফিকুল আলিকে বেধকড় মারধর করা হয়। ভাঙচুর চলে হাসপাতালে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসা না করেই রেফার করা হয়েছিল মন্টুকে, সেই কারণেই মৃত্যুর ঘটনা। এরপরই পালটা ক্ষোভে ফেটে পড়েন চিকিৎসক-নার্সরা। প্রতিবাদে কর্মবিরতির ডাক দেন তাঁরা। সব মিলিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, কর্মবিরতি চলছে। যার জেরে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার রোগীরা। এ বিষয়ে সিএমওএইচের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “তদন্ত করা হচ্ছে। কী হয়েছিল, কেন রোগীর মৃত্যু তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”