সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৭৩ দিনেরও বেশি সময় ধরে ভারত ও চিনের সেনা ডোকলামে একে অপরের চোখে চোখ রেখে দাঁড়িয়েছিল। উত্তেজনা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল, যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার মাত্র এক কদম দূরে ছিল দুই দেশই। ভারতীয় ভূখণ্ডের কাছে চিনা সেনাকে কোনওমতেই পাকা সড়ক বানাতে দেবে না ভারত, শপথ নিয়েছিল সেনা।
[চাঁদে মানুষ পাঠানোর দাবি ভুয়ো, অ্যাপোলো ১৭-এর সাফল্যকে নস্যাৎ করল নয়া ভিডিও]
আর এবার চিনা সেনার গতিবিধি স্তব্ধ করতে ডোকলামে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ করল ভারতীয় সেনা। ভবিষ্যতে চিন যাতে আর কোনওদিনও ডোকলামের কাছে অনুপ্রবেশ না করতে পারে, তাই ভারত-চিন সীমান্তে সেনাবাহিনীর চলাচলের উপযুক্ত পাকা সড়ক তৈরি করতে চলেছে ভারত। এমনই চওড়া ও মজবুত রাস্তা বানানো হবে, যার উপর দিয়ে যখন খুশি, যত খুশি সেনা একসঙ্গে যেতে পারে মার্চ করতে করতে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারতের এই পদক্ষেপের কেঁপে উঠবে লালফৌজের অন্দর। সীমান্তে এপারে ঢুকে এসে চোখ রাঙানোর সাহস পাবে না চিনা সেনা। একইসঙ্গে দেশের সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি অনুযায়ী প্রচুর লাইট মেশিনগান, ব্যাটেল কারবাইনস ও অ্যাসল্ট রাইফেল কেনা হচ্ছে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা খরচ করে।
তীব্র ঠাণ্ডা, অত্যন্ত প্রতিকূল ও জীবনযাপনের জন্য একেবারেই অনুপযুক্ত ভারত-চিন সীমান্ত এলাকায় পাকা সড়ক তৈরির মহাদায়িত্ব সেনার কর্পস অফ ইঞ্জিনিয়ার বা CoE-র উপরে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই শুরু করে গিয়েছে প্রাথমিক পর্বের কাজ। পাহাড় কাটার জন্য মেশিন, রাস্তা নির্মানের জন্য প্রয়োজনীয় মালমশলা ও মেশিনারি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেখানে। সেনার দ্রুত যাতায়াতের জন্য আনা হয়েছে অ্যাসল্ট ট্রাকও। মাইন খুঁজে বের করতে সক্ষম এমন ১০০০টি বিশেষ গাড়ির অর্ডার দিয়েছে সেনা। এক্সক্যাভেটর-এর মতো ভারী মেশিনারির অর্ডার দেওয়া হয়েছে অন্তত ১০০টি। সবমিলিয়ে এখন ৪০০০ কিলোমিটারেরও বেশি এলাকা জুড়ে বিস্তৃত ভারত-চিন সীমান্তে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চালাচ্ছে ২৩৭ বছরেরও বেশি পুরনো CoE। তাদের সহায়তা করছে বর্ডার অফ রোড অরগানাইজেশন বা BRO, জানিয়েছে পিটিআই।
[বিশ্বের সর্বত্র আঘাত হানতে সক্ষম তাদের মিসাইল, দাবি চিনের]
The post লালফৌজকে ধরাশায়ী করতে ডোকলামে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ ভারতীয় সেনার appeared first on Sangbad Pratidin.