সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পর্ন তারকা স্টরমি ড্যানিয়েলকে মুখ বন্ধ রাখতে অর্থ দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই প্রথমবার কোনও প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক অভিযোগ উঠল। আর সেই সঙ্গে তাঁর হোয়াইট হাউসে ফেরার নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নিতে পারা নিয়েও প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিল।
ট্রাম্পের (Donald Trump) বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন ডেমোক্র্যাটিক দলের সদস্য তথা অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগ। তাঁর কার্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আপাতত তা খামবন্দি। শীঘ্রই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা সব অপরাধমূলক অভিযোগ প্রকাশ্যে আনা হবে। এই মামলায় ট্রাম্প যাতে আত্মসমর্পণ করেন, সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহেই সেই নিয়ে সংশয় দূর হতে পারে। তবে ট্রাম্পের জেল হেফাজনেত জন্য আবেদন করা হবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
[আরও পড়ুন: স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ছবি হাতে রাজধানী অভিযানের ডাক! মমতার মুখে নেতাজির ‘দিল্লি চলো’]
উল্লেখ্য, পর্নতারকা স্টরমির সঙ্গে আগে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল ট্রাম্পের। পরে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তোলেন পর্নতারকা। তিনি যাতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মুখ না খোলেন, তার জন্য আইনজীবী মারফত ১ লক্ষ ৩০ হাজার ডলার পাঠানো হয়েছিল। ট্রাম্প নিজেই ওই অর্থ পাঠিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন ট্রাম্প। উলটে ম্যানহাটন আদালতের বিরুদ্ধেই তোপ দাগেন তিনি। ম্যানহাটন আদালতের প্রধান কৌঁসুলির সচিবালয়ের উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, “দুর্নীতিগ্রস্ত ও রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট এই সচিবালয় আমায় আটকাতে চাইছে, যাতে আমি ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে না লড়তে পারি।” তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সমর্থকদের সুর চড়ানোর আহ্বানও জানিয়েছিলেন।
এদিকে, স্টরমি জানিয়েছিলেন, ট্রাম্পকে গ্রেপ্তার করা হলে তিনি নাচতে নাচতে সেলিব্রেট করবেন। তিনি বলেন, “যখন ট্রাম্পকে জেলে পাঠানো হবে, সেই রাস্তা দিয়ে হেঁটে নয়, নেচে নেচে যাব আমি।” এই ইস্যুতে ট্রাম্পের ভবিষ্যৎ কী, এখন সেটাই লাখ টাকার সওয়াল।