সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনী ভরাডুবির পর আপাতত হোয়াইট হাউস থেকে বিদায় নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। চলছে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়াও। তবে পরিস্থিতি বেগতিক হলেও ফের ‘সাদা বাড়ি’ দখল করতে নয়া রাজনৈতিক দল গড়তে চলেছেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলে দাবি করেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
[আরও পড়ুন: উইঘুর মহিলাদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জের, চিনা দূতাবাসের অ্যাকাউন্ট ‘ব্লক’ করল টুইটার]
এক প্রতিবেদনে প্রতিবেদনে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের দাবি, নিজের রাজনৈতিক দলের নাম ‘প্যাট্রিয়টিক পার্টি’ রাখতে পারেন ট্রাম্প। ১৯ জানুয়ারি হোয়াইট হাউস থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিদায়ের কয়েক ঘণ্টা আগেই এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়েছে, ট্রাম্প এরই মধ্যে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের চিন্তাভাবনা নিয়ে তার ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। জাতির উদ্দেশে দেওয়া বিদায়ী ভাষণে তিনি বলেন, “আমাদের আন্দোলন সবে শুরু হয়েছে। রাজনীতির ময়দান থেকে আমরা কোনওভাবেই হারিয়ে যাব না। যে আন্দোলন চালু হয়েছে তা কেবল শুরু।” এদিকে, বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তে সার্বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে রিপাবলিকান দল। দলের একাংশ ট্রাম্পের বিচ্ছিন্ন এজেন্ডায় সমর্থন দিয়েছেন আবার আরেক অংশ তার কট্টর অবস্থান অপছন্দ করেন। ইউটিউবে এক ভিডিওবার্তায় ট্রাম্প জানান, তাঁকে অনেক কঠিন লড়াইয়ের মোকাবিলা করতে হয়েছে। কারণ সে জন্যই তাঁকে নির্বাচিত করা হয়েছিল। তবে ট্রাম্প এখনও মনে করেন গত নভেম্বরের নির্বাচনে তিনি হারেননি। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে তৃতীয় দল গড়ে তোলার প্রচেষ্টা এটাই নতুন নয়। এর আগেও হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প তার অতি রক্ষণশীল এজেন্ডাগুলো নিয়ে রাজনীতিতে আলাদা দল গঠন করলে তাঁকে রিপাবলিকান দলের কিছু নেতাকেও দলে নিতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকে লাগাতার ডেমোক্র্যাট শিবিরকে আক্রমণ করে গিয়েছেন রিপাবলিকান ট্রাম্প। জালিয়াতি করে তাঁকে হারানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন। মামলা করেছেন। আর তাতে কোনও লাভ না হওয়ায় অশান্তি সৃষ্টির জন্য নিজের সমর্থকদের উসকানিও দিয়েছেন বলে বিরোধীদের দাবি। তবে ক্যাপিটল হিলের ঘটনার পর দ্বিতীয়বার ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি হওয়ার কিছুটা থমকে গিয়েছিলেন তিনি। তাই পেশীশক্তি নয়, রাজনীতিকেই হাতিয়ার করতে চলেছেন তিনি। মার্কিন রাজনীতির গতিপথ সাধারণত রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটিক এই দুই দলই নির্ণয় করে। অতীতে তৃতীয় পার্টি থাকলেও তা রাজনীতির ময়দানে খুব একটা প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়নি। কিন্তু নিজের উগ্র ‘শ্বেতাঙ্গ প্রথম’ রাজনীতির জোরে ট্রাম্প দল গড়লে মার্কিন রাজনীতিতে এক নউটন অধ্যায়ের সূচনা হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কারণ, নির্বাচন হারলেও ট্রামপন্থীদের সংখ্যা খুব একটা কম নয়।