সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চতুর্থবার নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। শান্তির নোবেল পাওয়ার জন্য তাঁর নাম প্রস্তাব করেছেন মার্কিন সাংসদ ক্লডিয়া টেনি। ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন দ্বন্দ্বের মধ্যেই ট্রাম্পের আমলে স্বাক্ষরিত আব্রাহাম অ্যাকর্ডের বিষয়টি তুলে ধরেছেন রিপাবলিকান সাংসদ। ক্লডিয়ার মতে, মধ্য প্রাচ্যে শান্তি ফেরাতে ট্রাম্পের উদ্যোগকে এতদিন স্বীকৃতি দেয়নি নোবেল কমিটি (Nobel Prize)। তবে এবার ছবিটা পালটানো দরকার।
২০২০ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উদ্যোগে আব্রাহাম অ্যাকর্ড সই করে ইজরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। কয়েক দশকের বিবাদ মিটিয়ে ইজরায়েলকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেয় আরব দেশটি। অন্যদিকে, ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক দখলের দাবি থেকে সরে আসে ইজরায়েল। এই চুক্তির ফলে মধ্যপ্রাচ্যের অশান্তি থেমে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন হয়। বিশেষজ্ঞদের অনুমান ছিল, এই দুই দেশের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা হলে চাপে পড়বে ইরান। তাই আমেরিকার বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে পারবে না তারা। তবে গত অক্টোবর মাস থেকে ফের গাজা ও ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে ইজরায়েল।
[আরও পড়ুন: অস্ত্র হাতে ভারতীয় ভূখণ্ডে চিনা সেনা! রুখে দাঁড়ালেন লাদাখের মেষপালকেরা, ভাইরাল ভিডিও]
এহেন পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে বিঁধে মুখ খুললেন রিপাবলিকান সাংসদ। তাঁর মতে, “বাইডেনের দুর্বল নেতৃত্বের জন্যই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আমেরিকার সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সেই জন্যই ট্রাম্পের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া দরকার। কারণ তাঁর দৃঢ় নেতৃত্বেই বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। নোবেল শান্তি পুরস্কারের (Nobel Peace Prize) জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করে আমি গর্বিত। আশা করি তিনি নিজের কাজের যোগ্য স্বীকৃতি পাবেন। কারণ সকলেই ভেবেছিল, ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন মতবিরোধ না মিটিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি স্থাপন সম্ভব নয়। কিন্তু সেই অসম্ভবকেই বাস্তব করে দেখিয়েছেন ট্রাম্প।”
উল্লেখ্য, এর আগে তিনবার নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন ট্রাম্প। ২০২০ সালে দুই কোরিয়ার মধ্যে শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য তাঁর নাম প্রস্তাব করেন নরওয়ের রাজনীতিবিদ ক্রিশ্চিয়ান টাইব্রিং। ওই একই বছর সার্বিয়া ও কসভোর শান্তি ফেরানোর কারণে নোবেল কমিটির কাছে ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করেন সুইডেন সাংসদ ম্যাগনাস জ্যাকবসন। তার আগে ২০১৮ সালে ১৮ জন মার্কিন সাংসদ একজোট হয়ে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করেন।