shono
Advertisement
Donald Trump

সত্যি হল আশঙ্কা! বাইডেনের বিশেষ ছাড়পত্র কেড়ে নিয়ে 'বদলা' ট্রাম্পের

২০২১ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়েই ট্রাম্পের বিশেষ ছাড়পত্র কেড়ে নিয়েছিলেন বাইডেন।
Published By: Suchinta Pal ChowdhuryPosted: 11:53 AM Feb 08, 2025Updated: 12:02 PM Feb 08, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বদল নয়, বদলার পথেই হাঁটবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প! এই আশঙ্কাই করেছিলেন জো বাইডেন। যা সত্যি হল। এবার প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ ছাড়পত্র তুলে নিলেন ট্রাম্প। এর ফলে দেশের আর কোনও গোপন নথি হাতে পাবেন না বাইডেন। এক সময় এই একই খেলা খেলেছিলেন তিনি। ২০২১ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়েই ট্রাম্পের বিশেষ ছাড়পত্র কেড়ে নিয়েছিলেন বাইডেন। এবার ক্ষমতায় ফিরে বর্ষীয়ান ডেমোক্র্যাট নেতাকে সেই অতীতই মনে করিয়ে 'প্রতিশোধ' নিলেন ট্রাম্প। 

Advertisement

রয়টার্স সূত্রে খবর, আজ শনিবার এক্স হ্যান্ডেলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লেখেন, 'জো বাইডেনের গোপন তথ্য পাওয়ার আর কোনও প্রয়োজন নেই। আমরা তাঁর বিশেষ ছাড়পত্র প্রত্যাহার করছি। প্রতিদিন তিনি যে গোপন খবরগুলো পেতেন সেগুলো আর পাবেন না।' তিনি যে 'বদলা'ই নিলেন সেকথা কার্যত উল্লেখ করে এদিন ট্রাম্প লেখেন, 'এই উদাহরণ তো বাইডেন নিজেই তৈরি করেছিলেন। ২০২১ সালে তিনি আমার বিশেষ ছাড়পত্র তুলে নিয়েছিলেন। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, আমাকে যেন জাতীয় নিরাপত্তার আর কোনও তথ্য দেওয়া না হয়।'

নিজের বক্তব্যে বাইডেনকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি ট্রাম্প। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের স্মৃতিশক্তিকে হাতিয়ার করে কড়া ভাষায় তিনি লেখেন, 'বিভিন্ন রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, বাইডেনের স্মৃতিশক্তি খুবই কম। দেশের বিভিন্ন গোপন নথির মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোনওভাবেই তাঁকে আর ভরসা করা যায় না। আমি দেশের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে পারব না। জো বাইডেনের সময় শেষ। আমি এবার মহান আমেরিকা গড়ব।'

কী এই বিশেষ ছাড়পত্র? সাধারণত আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টদের হাতে থাকে এই ক্ষমতা। তাঁরা চাইলে এফবিআই কিংবা সিআইএ-এর মত গোয়েন্দা সংস্থার গোপন নথি দেখতে পারেন। মার্কিন সেনাবাহিনী কিংবা প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে বিভিন্ন গোপন তথ্যও প্রতিনিয়ত জানতে পারেন। যেকোনও জায়গায় যাওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তাতেও বিশেষ ছাড় থাকে তাঁদের। ২০২১ সালে আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে ক্ষমতায় এসেছিলেন বাইডেন। তখন ক্যাপিটল হিলে হামলার জন্য ট্রাম্পের এই ছাড়পত্র তুলে নিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, "ট্রাম্পের আচরণ সংযত নয়। এটাই প্রমাণ তিনি দেশের গোপন তথ্য পাওয়ার যোগ্য নন। তাই এই ক্ষমতা আমরা প্রত্যাহার করছি।' সেই ক্ষত ভুলে যাননি ট্রাম্প। অপেক্ষা করছিলেন সঠিক সময়ের। সুযোগ পেয়েই এবার নিজের বদলা নিয়ে নিলেন তিনি।

ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে যে তাঁর ঘনিষ্ঠদের উপরেও খাঁড়া নেমে আসবে তা বুঝে ছিলেন বাইডেন। তাই গত ১০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট পদের শেষলগ্নে এসে ‘কোভিড যোদ্ধা’ অ্যান্টনি ফাউচি এবং প্রাক্তন সেনাকর্তা মার্ক মাইলিকে ‘রক্ষাকবচ’ দিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ‘প্রেসিডেনশিয়াল পাওয়ার’ বা পদ প্রদত্ত বিশেষ ক্ষমতার এহেন প্রয়োগ আমেরিকায় বেনজির। ২০ জানুয়ারি আমেরিকার ৪৭তম রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে শপথ নেন ট্রাম্প। তার আগে পদের শক্তি ব্যবহার করে ফাউচি ও মাইলিকে ‘প্রেসিডেনশিয়াল পার্ডন ‘ বা ক্ষমার শংসাপত্র দেন বাইডেন। সাধারণত, দোষীদের এহেন শংসাপত্র দেওয়া হয়। দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও হোয়াইট হাউসের প্রাক্তন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ফাউচি ও জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ মাইলির বিরুদ্ধে এখনও কোনও তদন্ত শুরু হয়নি বা তাঁদের কোনও মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ ছাড়পত্র তুলে নিলেন ট্রাম্প।
  • এর ফলে দেশের আর কোনও গোপন নথি হাতে পাবেন না বাইডেন। এক সময় এই একই খেলা খেলেছিলেন তিনি।
  • ২০২১ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়েই ট্রাম্পের বিশেষ ছাড়পত্র কেড়ে নিয়েছিলেন বাইডেন।
Advertisement