সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বড়দিনে রক্তাক্ত নাইজেরিয়া। নামাজ চালাকলীন একটি মসজিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৩৫ জন। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, এটি একটি আত্মঘাতী বোমা হামলা ছিল। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ঘটনার তদন্ত।
জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় উত্তর নাইজেরিয়ার মাইদুগুড়ি শহরের একটি মসজিদে নামাজ চলছিল। প্রচুর মানুষের ভিড় ছিল সেখানে। সন্ধ্যে ৬টা নাগাদ আচমকা বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। আতঙ্কে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় চারদিকে। বিস্ফোরণের জেরে আগুন লেগে যায় মসজিদে। কালো ধোঁয়ায় ঢাকে গোটা এলাকা। ভয়াবহ এই ঘটনায় সাত জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে আহত হয়েছেন আরও ৩৫ জন। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। আহতদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আপাতত সেখানেই তাঁরা চিকিৎসাধীন। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, এটি একটি আত্মঘাতী বোমা হামলা ছিল। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
উল্লেখ্য, নাইজেরিয়ায় এই ধরনের আততায়ী হামলার ঘটনা নতুন নয়। চলতি বছর মধ্য নাইজেরিয়ায় অবস্থিত বেনুতে ভয়ংকর সাম্প্রদায়িক হামলা চালিয়েছিল বন্দুকবাজের দল। শতাধিক গ্রামবাসীকে হত্যার পাশাপাশি একাধিক পরিবারকে ঘরের মধ্যে বন্ধ করে দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এই অঞ্চলটির উত্তর অংশ মুসলিম প্রধান এবং দক্ষিণ অংশটি খ্রিস্টান অধ্যুষিত। ফলে মাঝে মাঝেই সেখানে ছড়িয়ে পড়ে সাম্প্রদায়িক হিংসার আগুন। এছাড়াও নাইজেরিয়ায় আতঙ্কের আরেক নাম জঙ্গি সংগঠন বোকো হারাম। দেশের নানা প্রান্তে খ্রিস্টানদের উপর হামলার ঘটনায় সম্প্রতি কড়া হুঁশিয়ারি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানিয়ে দেন, “নাইজেরিয়ার সরকার যদি খ্রিস্টানদের রক্ষা করতে অক্ষম হয়, তবে আমেরিকার বন্দুক গর্জন করতে প্রস্তুত। আমরা ইসলামি সন্ত্রাসবাদকে গোড়া থেকে উপড়ে ফেলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
