সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্মের ফাঁস নয়, চাই মুক্তির হাওয়া। ইরান জুড়ে উঠছে এমনই দাবি। প্রাণ দিয়ে ‘মোল্লাতন্ত্রে’র মৃত্যুঘণ্টা বাজিয়ে দিয়ে গিয়েছেন মাহসা আমিনি। হিজাব বিদ্রোহের সেই আগুন যে এখন কার্যত দাবানল তা এবার প্রাণ দিয়ে প্রমাণ করলেন তরুণ মাজিদরেজা রাহনাবর্দ।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গত সোমবার ইরানের মাশাদ শহরে প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়া হয় মাজিদরেজা রাহনাবর্দকে। সরকার বিরোধী আন্দোলনে শামিল হওয়ার জন্যই প্রাণদণ্ড দেওয়া হয় বছর তেইশের ওই যুবককে। সম্প্রতি, সেই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, চোখ বাঁধা অবস্থায় দুপাশে রক্ষীবেষ্টিত হয়ে শেষ ইচ্ছা প্রকাশ করছেন মাজিদরেজা রাহনাবর্দ। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “আমার সমাধিতে কেউ শোকপ্রকাশ করবেন না। আমি চাই না সেখানে কেউ কোরান পাঠ করুক বা প্রার্থনা করুক। বরং সবাই আনন্দ করবেন. গান-বাজনা হবে সেখানে।” উল্লেখ্য, ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করে দেখেনি সংবাদ প্রতিদিন।
[আরও পড়ুন: আড়াই হাজার বছরের ‘ধাঁধা’, পাণিনির সূত্রের রহস্যভেদ কেমব্রিজের ভারতীয় পড়ুয়ার]
ইরানের মিজান নিউজ এজেন্সির দাবি, নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলা চালিয়েছিলেন মাজিদরেজা। ওই হামলায় মৃত্যু হয় দু’জনের। আহত হন চারজন নিরাপত্তারক্ষী। ওই অপরাধে তাঁকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছে। এদিকে. টুইটারে মাজিদরেজার ভিডিও শেয়ার করে খোমেইনি প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বেলজিয়ামের সাংসদ তথা নারী অধিকার কর্মী দারয়া সাফাই।
উল্লেখ্য, মাত্র দিন চারেক আগেই ফাঁসিতে ঝোলানো হয় ২৩ বছরের মোহসেন শেকারিকে। পরপর বিক্ষোভকারীদের প্রাণদণ্ড দেওয়ায় আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছে তেহরান। এহেন ঘটনায় শঙ্কিত ইরানের (Iran) মানবাধিকার সংগঠনগুলি। তাঁদের মতে, এবার বিনা বাধায় বিরোধীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে শুরু করবে খোমেইনি প্রশাসন। অবিলম্বে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ না হলে সরকারের দমননীতি আরও বাড়বে বলেই তাঁদের অনুমান।