স্টাফ রিপোর্টার: দেশের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে ফের আশার কথা শোনালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “সরকার অর্থ ব্যায় করছে, সে কারণে বাজেট ঘাটতি লক্ষ্যমাত্রা রাখতে ব্যর্থ হলেও উদ্বেগর কোনও কারণ নেই।” তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে কেন্দ্র যে প্যাকেজ দিচ্ছে তা আচমকা কমিয়ে ফেলা হবে না। এর জন্য সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভারসাম্য রেখে কাজ করছে।
অর্থমন্ত্রী বলেছেন, “এখন আমি আর্থিক ঘাটতি (Fiscal Gap) নিয়ে চিন্তিত হতে চাইছি না, কারণ এই সময় অর্থ ব্যয় করার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা প্রতি ১৫ দিন অন্তর সরকারি ব্যয় পর্যালোচনা করছি। সেই সঙ্গে সরকারি সংস্থাগুলিতেও ব্যয় বাড়াতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।” গতমাসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ত্রাণ প্যাকেজ বাড়িয়ে ৩০ লক্ষ কোটি টাকা করেছেন। যা অর্থনীতির ১৫ শতাংশ। সংস্থাগুলিকে বাঁচাতে এবং করোনা অতিমারীর কারণে চাকরিহীনদের বাঁচাতে এই প্যাকেজ। ভারতের এই প্যাকেজের কারণে সারা বিশ্বে ত্রাণ প্যাকেজ ১২ লক্ষ কোটি ডলারে পৌঁছেছে।
[আরও পড়ুন: বিশ্বের ১০০ জন ক্ষমতাশালী মহিলার তালিকায় নির্মলা সীতারমণ! তৃতীয় স্থানে কমলা হ্যারিস]
অর্থনীতিবিদরা কর আদায় কমার বিষয়টির পাশাপাশি অতিরিক্ত ব্যয়ের দিকটিতেও নজর রাখছে। তাদের মতে দেশের বাজেট ঘাটতি বেড়ে ৮ শতাংশ হবে। অর্থাৎ, সরকারের ৩.৫ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুনের চেয়েও বেশি। আগামী বছর ফেব্রুয়ারির ১ তারিখে কেন্দ্রীয় বাজেট ঘোষণা। তার আগে সীতারমণ বলেছেন, আগামী বছরের বিষয়ে, আমাদের একটি মূল্যায়ন করা দরকার। আমি নিশ্চিত নই যে আমি আচমকা ব্যয় হ্রাস করতে পারব। এটি একটি সাবধানী ভারসাম্য হতে হবে, কারণ অর্থনীতির লাভের গতিটি টিকিয়ে রাখা উচিত।”
[আরও পড়ুন: 4G না হলে দু’বছরও টিকবে না বিএসএনএল, কর্মীদের কাতর আবেদন কেন্দ্রকে]
এদিকে, বাজেট ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেও আশার কথা শোনাল রেটিং সংস্থা ফিচ। আগে তারা ভারতে চলতি আর্থিক বছরে ১০.৫ শতাংশ হারে সংকোচনের কথা বললেও তাতে পরিবর্তন করেছে। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের পর তাদের নতুন ইঙ্গিত, সংকোচনের হার কমে ৯.৪ শতাংশ হতে পারে।