সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “নমো, সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে। বিশ্বরূপে বিশালাক্ষ্মী বিদ্যাংদেহি নমোহস্তুতে…।” মাঝে আর মাত্র কটা দিন। তার পরই বাগদেবীর আরাধনায় মেতে উঠবে বাংলা। বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণে মানতে হয় নানা নিয়মও। পুজোর দিনই শুধু নয়, আগের দিন বা পরের দিনও নানা আচার মেনে চলতে হয়। সরস্বতী পুজোও ব্যতিক্রম নয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন নিয়ম মেনে বিদ্যার দেবীকে প্রসন্ন করবেন।
দেবী সরস্বতী শিক্ষা, শিল্প-সংস্কৃতির দেবী। মনের অন্ধকার, অশিক্ষা-কুশিক্ষা দূর করে জীবন আলোকিত করার জন্যই ঘরে ঘরে সরস্বতী পুজো করা হয়। নিষ্ঠা-সহকারে পুজো করলে দেবীর সিদ্ধিলাভ হবেই হবে। এমন কথাই প্রচলিত রয়েছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। তাই বছরের এই একটা দিন যাবতীয় নিয়ম মেনে চলতে চান শিক্ষার্থীরা। তবে এমন কিছু কাজ রয়েছে যা সরস্বতী পুজোর দিন করলে দেবী রুষ্ট হন। জেনে নিন কোন নিয়মগুলি মানবেন আর কী কী কাজ এড়িয়ে চলবেন।
[আরও পড়ুন: ‘রানি আর কমান্ডার নেই বলে সুযোগের সদ্ব্যবহার করছেন’, খাড়গেকে চূড়ান্ত কটাক্ষ মোদির]
১) সরস্বতী পুজোর দিন হাত কিংবা পায়ের নখ ভুলেও কাটতে নেই। চুলের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। যদি খুব প্রয়োজন হয়, তাহলে আগের বা পরের দিন কেটে নেওয়া যেতে পারে।
২) সরস্বতী পুজোর দিন ভুলেও সেলাইয়ের কাজ করবেন না।
৩) এদিন কোনও ভাবেই কাউকে কু-কথা বলা উচিত নয়। কারণ, এই পুজোর সময় দেবী সরস্বতী আমাদের জিহ্বায় অবস্থান করেন। তাই কারওর উদ্দেশেই কটু কথা বলতে নেই।
৪) গাছ কিংবা খেতের ফসল এদিন ভুলেও কাটতে যাবেন না। শাস্ত্রমতে, এদিন গাছেরাও আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠে। তাই মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে বাড়িতে গাছ লাগানোকে মঙ্গলসূচক ধরা হয়।
৫) সরস্বতী পুজোর দিন ক্রোধ সম্বরণ করুন। কারণ, অশান্ত স্বভাব দেবীর অপছন্দ।
৬) সরস্বতী পুজোর দিন হলুদ কিংবা সাদা বস্ত্র পরুন। অন্য রংয়ের বস্ত্র এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
৭) পুজোর সময় যে প্রদীপ জ্বালা হয়, তা যেন কোনও ভাবেই পুজো চলাকালীন নিভে না যায়। পুজো চলাকালীন প্রদীপ নিভে যাওয়া অমঙ্গল সূচক।