সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (Coronavirus) চিকিৎসায় ডিআরডিও (DRDO) তৈরি করেছে 2-DG ওষুধ। মঙ্গলবার প্রকাশ্যে এল সেই ওষুধ ব্যবহারের নির্দেশিকা। যেখানে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাঁরা অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, গুরুতর হৃদরোগের সমস্যা ও প্রবল শ্বাসকষ্টে ভুগছেন তাঁদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ দেওয়ার আগে সবদিক বিবেচনা করে নিতে হবে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে ২-ডিজি ব্যবহারের নির্দেশিকা। সেখানে জানানো হয়েছে, সাধারণ ভাবে ২ডিজি করোনা রোগীদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেওয়া যেতে পারে। তবে সর্বোচ্চ ১০ দিনের জন্য। অন্তঃসত্ত্বা মহিলা ও সন্তানকে স্তন্যপান করাচ্ছেন যাঁরা তাঁদের এই ওষুধ দিতে বারণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ১৮ বছরের নিচে যাঁদের বয়স তাঁদেরও এটি দেওয়া যাবে না।
[আরও পড়ুন: আশঙ্কাই সত্যি, প্রায় চার দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ সংকোচন জিডিপিতে]
প্রসঙ্গত, এর আগে মে মাসেই কোভিড মোকাবিলায় 2-DG নামের ওষুধটি চিকিৎসা ক্ষেত্রে জরুরি ব্যবহারের জন্য আনে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা DRDO। ওষুধের প্রথম ব্যাচটির আত্মপ্রকাশ ঘটে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনের হাত ধরে। কয়েক দিন আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল এই ওষুধটির প্রতি স্যাশের মূল্য ৯৯০ টাকা। যদিও কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলিকে এই দামের উপর বিশেষ ছাড় দেওয়া হবে।
হায়দরাবাদের ডক্টর রেড্ডিস ল্যাবের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে এই ওষুধটি তৈরি করেছে ডিআরডিও-র ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়িড সায়েন্সেস (Institute of Nuclear Medicine and Allied Sciences) বা ইনমাস। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, “যে সমস্ত রোগী করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভরতি হচ্ছেন, এই ওষুধে তাঁরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন বলেই প্রমাণিত হয়েছে। শরীরে অক্সিজেনের মাত্রাও স্বাভাবিক করে তুলতে বিশেষ ভূমিকা নিচ্ছে 2-DG।” অর্থাৎ করোনা চিকিৎসায় এ এক যুগান্তকারী আবিষ্কার। পাউডারের মতো যে ওষুধটি খেতে হবে জলে গুলে।
এদিকে চিনের সিনোভ্যাক ভ্যাকসিনকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে এই টিকা দেওয়া যাবে। প্রথম ডোজের ২ থেকে ৪ সপ্তাহ পরে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।