সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মুর (Jammu) এয়ার ফোর্স স্টেশনে হামলার এক সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। তবু হামলার আতঙ্ক যেন কমছেই না ভূস্বর্গে। সপ্তাহভর জম্মু কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় দেখা মিলেছে ড্রোনের। যদিও সেনার তৎপরতায় নতুন করে কোনও নাশকতামূলক ঘটনা ঘটাতে পারেনি এই ‘আনম্যানড আর্মি।’ শনিবার রাতেও জম্মুর সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় দেখা মিলেছে ড্রোনের। যদিও সে কথা অস্বীকার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, জম্মু কাশ্মীরের সাম্বা জেলার বীরপুর গ্রামের কাছে রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ড্রোনের (Drone) দেখা মেলে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গ্রামের আকাশে উড়ন্ত বস্তু নজরে এসেছিল। তবে তল্লাশি চালিয়ে কিছুই পায়নি পুলিশ। সাম্বা পুলিশের তরফে জানানো হয়, এই এলাকায় কোনও ড্রোনের হদিশ মেলেনি। তবে তারা সতর্ক রয়েছেন।
[আরও পড়ুন: হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত! ফের Twitter ইন্ডিয়ার কর্তাদের বিরুদ্ধে দায়ের অভিযোগ]
উল্লেখ্য, ২৭ জুন রাতে মিনিট তিনেকের ব্যবধানে জোড়া বিস্ফোরণ হয় জম্মুর এয়ারফোর্স স্টেশনে। বড়সড় ক্ষতি না হলে তাৎপর্যপূর্ণভাবে সামনে চলে আসে জঙ্গিগোষ্ঠীর হামলার নতুন ছক। এতদিন যে ড্রোনে সীমান্তে পেরিয়ে অস্ত্র পাচার করত জঙ্গিরা। এবার সেই ড্রোনের মাধ্যমে বিস্ফোরক পাঠিয়ে হামলার চেষ্টা চালাচ্ছে জেহাদিরা। বিস্ফোরণের পর থেকে সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় বেড়েছে ড্রোনের আনাগোনা। কখনও সেনা তৎপরতায় পালিয়েছে আনম্যানড ভেহিক্যালসগুলি। আবার কখনও নজর দাঁড়িয়ে চালিয়েছে। সপ্তাহভর চর্চার শীর্ষে থেকেছে ড্রোনের গতিবিধি। এমন অবস্থায় শনিবার রাতে ফের দেখা মিলল ড্রোনের।
উল্লেখ্য, দেশের নিরাপত্তার বিরুদ্ধে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে ড্রোন। বাজারে অল্প টাকার বিনিময়ে সহজেই মিলছে ড্রোন। যার জেরে দেশের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে। বৃহস্পতিবার সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতীয় সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে (Army chief General MM Naravane)। গত শনিবার জম্মুর বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলার জন্য প্রথমবারের মতো ড্রোন ব্যবহার করে জঙ্গিরা। তারপর থেকে জম্মুর সেনঘাঁটিগুলির কাছে অন্তত ১২ বার ড্রোনের আনাগোনা দেখা গিয়েছে।